Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :নিম বীজের নির্যাস ব্যবহার করে বেগুনের জ্যাসিড পোকা দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 

ফসলের নাম : বেগুন
পোকার নামঃ জ্যাসিড পোকা

পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ পূর্ণবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক পোকা পাতার রস চুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে। পাতার রস চুষার সময় এদের লালা গ্রন্থি থেকে বিষাক্ত রস বেরিয়ে আসে যা গাছের পাতাকে প্রথমে কুকড়িয়ে ফেলে পরে ঐ পাতার কিনারা লাল হয়ে যায়। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে সম্পূর্ণ পাতা লাল হয়ে যায় এবং অবশেষে পাতা ঝরে পড়ে। পোকা আক্রান্ত পাতা পুড়ে যাওয়ার মত দেখায়। এই পোকা বেগুন গাছে মাইকোপ্লাজমা রোগ ছড়াতেও সাহায্য করে। এই পোকা গাছের পাতার রস খাওয়ার পাশা পাশি মধুর মত এক রকম রস বের করে। এই রস পাতায় আটকে গেলে তাতে সুটি মোল্ড নামক এক প্রকার কালো রং এর ছত্রাক জন্মায় ফলে গাছের সালোকসংশেস্নষণ ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা:

নিম বীজের নির্যাস প্রয়োগ করে বেগুনের জ্যাসিড পোকা অত্যন্ত কার্যকরীভাবে দমন করা সম্ভব। বিশেষত, শুষ্ক মৌসুমে (ফেব্রুয়ারী-এপ্রিল) বেগুন গাছে যখন জ্যাসিড পোকার আক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় সে সময় ১০ দিন পরপর ৩-৪ বার নিম বীজের নির্যাস প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা সম্ভব। প্রথমত নিম বীজকে অল্প পরিমাণে ভেঙ্গে নিতে হবে। উক্ত আধা ভাঙ্গা নিম বীজ পরবর্তীতে ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ( ৫০ গ্রাম পরিমাণ নিম বীজ ১ লিটার পরিমাণ পানিতে ভিজাতে হবে)। উক্ত নিম বীজের নির্যাস মিশ্রিত পানি পরবর্তীতে জ্যাসিড আক্রান্ত গাছসমূহে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত পাতার নিচের দিকে স্প্রে করতে হবে।


জ্যাসিড পোকা আক্রান্ত বেগুন গাছ (ছবি-১)

জ্যাসিড পোকা আক্রান্ত বেগুন গাছ (ছবি-২)

নিমবীজ

আধা ভাঙ্গা নিম বীজ


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back