Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিমের ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 

ফসলের নাম : শিম
পোকার নামঃ ফলছিদ্রকারী পোকা বা মাজরা পোকা

পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ এই পোকার কীড়ার মাথা গাঢ় বাদামী থেকে কালো রংয়ের। দেহ হলদে সাদা বর্ণের। কীড়ার পীঠে লম্বালম্বি লালচে ফোটা দেখা যায়। পূর্নাঙ্গ পোকা দেখতে কালচে ছাই রংয়ের। নীচের পাখা সাদা তুলার মত। ডিম থেকে বের হয়ে আসা কীড়া ফুল, ফুলের কুঁড়ি, কচি ফল ছিদ্র করে ভিতরে ঢোকে এবং ভিতরের শাঁস খেয়ে নষ্ট করে। ফলে এগুলো ঝরে পড়ে। আক্রান্ত সীম অনেক সময কুঁকড়ে যায় এবং অসময়েই ঝরে পড়ে। আক্রমণের মাত্রা বেশী হলে সীমের ফলন মারত্বকভাবে হ্রাস পেতে পারে।
দমন ব্যবস্থাপনা:

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত নিম্নোক্ত আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত পোকাসমূহ কার্যকরীভাবে, কম খরচে ও পরিবেশসম্মত উপায়ে দমন করা সম্ভব।
১. প্রতি একদিন পর পর আক্রান্ত ফুল ও ফল হাত দিয়ে সংগ্রহ করে কমপক্ষে একহাত গভীর গর্ত করে পুতে ফেলতে হবে।
২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করা ও ঝরা ফুল, ফল ইত্যাদি সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলা।
৩. জৈব বালাইনাশক এমএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
৪. প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডিম নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ (হেক্টরপ্রতি এক গ্রাম পরজীবি পোকা আক্রান্ত ডিম, যেখান হতে ৪০,০০০ হতে ৪৫,০০০ পূর্ণাঙ্গ ট্রাইকোগ্রামা বের হয়ে আসবে) ও কীড়া নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ব্রাকন হেবিটর (হেক্টরপ্রতি এক বাংকার বা ৮০০-১২০০টি হিসাবে) পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে।
৫.আক্রমনের মাত্রা বেশী হলে জৈব বালাইনাশক, স্পেনোসেড (ট্রেসার) স্প্রে করতে হবে (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪ মি:লি: পরিমান)। গাছে ফুল আসার সময় হতে প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।

মাজরা পোকা আক্রান্ত শিমের ফুল ও ফল (ছবি-১)

মাজরা পোকা আক্রান্ত শিমের ফুল ও ফল (ছবি-২)

মাজরা পোকা আক্রান্ত শিমের ফুল ও ফল (ছবি-৩)


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back