Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :পাপড় তৈরি পদ্ধতি

বিস্তারিত বিবরণ : 
বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের মুখরোচ খাবারের মধ্যে পাপড় অন্যতম। এটি অতি জনপ্রিয়, সহজ পাচ্য ও সুস্বাদু মুখরোচ খাদ্য। পাপড় যেমন তেলে ভেজে খাওয়া যায় তেমনি বিভিন্ন সবজি সুপ ও কারী সুপের সাথে খেতে ভালো লাগে। দেশের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় সারা বছর এটি পাওয়া যায় এবং সকলেই গ্রহণ করে থাকে। ক্রটিমুক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি সঠিক প্রয়োগের অভাবে পাপড়ের পরিমানগত ও গুণগতমাণের অপচয় ঘটে। এটির প্রস্তুতি পদ্ধতি অতি সহজ। দরিদ্র লোকজন এ সহজ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বহুলাংশে অপচয় রোধের পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। উন্নতমাণের চাল ও ডালের মিহি গুড়া/ময়দা দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। ভালমানের সমপরিমাণ মুগ ও মাসকলাই ডাল একসাথে মিশিয়ে মেশিনের মাধ্যমে ভেঙ্গে গুড়া করা হয়। এক কেজি পানি ফুটিয়ে নিয়ে ৮০ গ্রাম লবণ, ৫গ্রাম জিরা, ৫ গ্রাম কালজিরা, ৫ গ্রাম গোল মরিচের গুড়া, ৭০গ্রাম দই, ১০ গ্রাম খাবার সোডা, ১ গ্রাম হিং ও ১গ্রাম কাতেলী দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এরপর সমপরিমান মুগ ও মাসকলাই ডালের মিহি গুড়া/ময়দা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মিশ্রিত ঠান্ডা পানি যোগ করে ৫-৮ মিনিট রোলিং করলে পাপড় তৈরির উপযুক্ত মন্ড তৈরি হয়। মন্ডটিকে লম্বালম্বি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে সুতা দিয়ে কেটে নেয়া হয়। গোল আকৃতির মসৃণ কাঠের পিঁড়িতে বেলুন দিয়ে চাপ দিয়ে কয়েকবার এপিঠ ওপিঠ করলে পাপড় তৈরি হয়। পাপড়ের ব্যাস সাধারণত ১০-১৪ সেমি ও পুরুত্ব ০.৬-০.৯ মিলিমিটার আকৃতির হয়ে থাকে। এগুলো ২০-২৫ মিনিট রৌদ্রে শুকানোর পর ঠান্ডা হলে পলিপ্রোপাইলিন প্যাকেটে ভরে ভালভাবে মুখ সিল করে ৮-১০ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

পাপড়


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back