কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :বিভিন্ন ফলের (আমড়া, চালতা) আচার ও চাটনী তৈরিকরণ পদ্ধতি
বিস্তারিত বিবরণ :
আচার: রকমারি মশলা মেশানো ফল বা সবজিকে খাওয়ার তেল অথবা ভিনেগারে ডুবানো অবস্থায় প্রস্তুত খাদ্যকে আচার বা পিকল বলা হয়। এ পদ্ধতিতে ফল বা সবজির জলীয়াংশ বেশ কমে গিয়ে (১২% বা কম) তেল বা ভিনেগারে সম্পৃক্ত হয়ে উঠলে এদের সংরক্ষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। আচার তৈরিতে মশলা হিসেবে সরিষা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, মেথি, জিরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। আচারে ব্যবহৃত সরিষার তেল ও এসিড প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। আচার বা পিকলস্ খাদ্যকে সুস্বাদু করে। চিনি পুষ্টি ও মিষ্টতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং মশলা উহাকে সুস্বাদু ও মুখরোচক করে তুলে। সব ধরের আচার বা পিকলসে মুলত একই নীতির প্রয়োগ ঘটে এবং তৈরির প্রক্রিয়াও প্রায় অভিন্ন। শুধুমাত্র উপকরণের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছাড়াই আচার প্রস্তুত করা সম্ভব বিধায় গ্রাম পর্যায়ে এ প্রযুক্তির প্রসারের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
চাটনি: চাটনি অর্থে যা চেটে খাওয়া হয়। বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজি যেমন- বরই, তেতুল, জলপাই, আম, আমড়া, চালতা ইত্যাদি থেকে চাটনি তৈরি করা যায়। চাটনি সাধারণত ভাত, রুটি, লুচি, ইত্যাদি তন্দুর জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে অল্প পরিমান মিশিয়ে খেতে ভাল লাগে। এটি খাদ্যকে বেশ সুস্বাদু ও মুখরোচক করে তোলে। সাধারণত ফলের পাল্পের সাথে চিনি, লবন ও বিভিন্ন মশলা মিশেয়ে চাটনি তৈরি করা হয়। মশলা হিসেবে সরিষা, মরিচ, মেথি, কালজিরা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, জয়ফল, জয়ত্রী ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। চিনি ও অ্যাসেটিক এসিড চাটনিকে টকমিষ্টি করে। চাটনিতে ব্যবহৃত সরিষার তেল, অ্যাসেটিক এসিড এবং সোডিয়াম বেনজোয়েট প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া চিনি পুষ্টি ও মিষ্টতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং মশলা চাটনির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ায়। সব ধরের চাটনিতে মূলত একই নীতি র প্রয়োগ ঘটে এবং তৈরির প্রক্রিয়াও প্রায় অভিন্ন। শুধুমাত্র উপকরণের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে থাকে। চাটনির মধ্যে বরই-তেুতুলের মিশ্র চাটনির স্বাদে অন্যতম একটি মুখরোচক খাবার। মূল্যবান যন্ত্রপাতির ব্যবহার ছাড়াই বিএআরআই উদ্ভাবতি সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বরই-তেতুলের মিশ্র চাটনি তৈরি করা যায়। গ্রাম পর্যায়ে এই প্রযুক্তির প্রসারের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
আমড়ার আচার
জলপাই এর আচার
চালতার আচার
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
আচার: রকমারি মশলা মেশানো ফল বা সবজিকে খাওয়ার তেল অথবা ভিনেগারে ডুবানো অবস্থায় প্রস্তুত খাদ্যকে আচার বা পিকল বলা হয়। এ পদ্ধতিতে ফল বা সবজির জলীয়াংশ বেশ কমে গিয়ে (১২% বা কম) তেল বা ভিনেগারে সম্পৃক্ত হয়ে উঠলে এদের সংরক্ষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। আচার তৈরিতে মশলা হিসেবে সরিষা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, মেথি, জিরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। আচারে ব্যবহৃত সরিষার তেল ও এসিড প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। আচার বা পিকলস্ খাদ্যকে সুস্বাদু করে। চিনি পুষ্টি ও মিষ্টতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং মশলা উহাকে সুস্বাদু ও মুখরোচক করে তুলে। সব ধরের আচার বা পিকলসে মুলত একই নীতির প্রয়োগ ঘটে এবং তৈরির প্রক্রিয়াও প্রায় অভিন্ন। শুধুমাত্র উপকরণের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে। খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছাড়াই আচার প্রস্তুত করা সম্ভব বিধায় গ্রাম পর্যায়ে এ প্রযুক্তির প্রসারের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
চাটনি: চাটনি অর্থে যা চেটে খাওয়া হয়। বিভিন্ন রকমের ফল ও সবজি যেমন- বরই, তেতুল, জলপাই, আম, আমড়া, চালতা ইত্যাদি থেকে চাটনি তৈরি করা যায়। চাটনি সাধারণত ভাত, রুটি, লুচি, ইত্যাদি তন্দুর জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে অল্প পরিমান মিশিয়ে খেতে ভাল লাগে। এটি খাদ্যকে বেশ সুস্বাদু ও মুখরোচক করে তোলে। সাধারণত ফলের পাল্পের সাথে চিনি, লবন ও বিভিন্ন মশলা মিশেয়ে চাটনি তৈরি করা হয়। মশলা হিসেবে সরিষা, মরিচ, মেথি, কালজিরা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, জয়ফল, জয়ত্রী ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। চিনি ও অ্যাসেটিক এসিড চাটনিকে টকমিষ্টি করে। চাটনিতে ব্যবহৃত সরিষার তেল, অ্যাসেটিক এসিড এবং সোডিয়াম বেনজোয়েট প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া চিনি পুষ্টি ও মিষ্টতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং মশলা চাটনির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়ায়। সব ধরের চাটনিতে মূলত একই নীতি র প্রয়োগ ঘটে এবং তৈরির প্রক্রিয়াও প্রায় অভিন্ন। শুধুমাত্র উপকরণের ক্ষেত্রে তারতম্য ঘটে থাকে। চাটনির মধ্যে বরই-তেুতুলের মিশ্র চাটনির স্বাদে অন্যতম একটি মুখরোচক খাবার। মূল্যবান যন্ত্রপাতির ব্যবহার ছাড়াই বিএআরআই উদ্ভাবতি সহজ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বরই-তেতুলের মিশ্র চাটনি তৈরি করা যায়। গ্রাম পর্যায়ে এই প্রযুক্তির প্রসারের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।
আমড়ার আচার
জলপাই এর আচার
চালতার আচার
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।