Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সেচ ও মালচ্ প্রযুক্তি

বিস্তারিত বিবরণ : 

দোআঁশ ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা দোআশ বা পলিযুক্ত মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য উত্তম। পেঁয়াজের ভালো ফলন পেতে হলে উত্তম বীজ অত্যাবশ্যকীয়। ভালো বীজ এবং সঠিক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পেঁয়াজের ফলন শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সঠিক সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবে কৃষকেরা যেমন ভাল ফলন পায়না তেমনি বীজের গুনগতমানও ভাল হয় না। ঘাটতি সেচ এবং মালচ্ ব্যবহারের মাধ্যমে পানির পরিমিত ব্যবহার করে যে সকল এলাকায় পানির ঘাটতি আছে, সেসব এলাকায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার পূর্বক পেঁয়াজের বীজের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। ঘাটতি সেচ প্রযুক্তিতে কম পানি প্রয়োগ করা হলেও মাল্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব। ফলে পেঁয়াজের বীজের ফলন বৃদ্ধি এবং গুণগত মান বজায় থাকে।
সেচ প্রয়োগ
পেঁয়াজের বিভিন্ন বৃদ্ধি পর্যায়ে যেমন-প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়, কলি বের হওয়া পর্যায়, ফুল আসা ও দান গঠন পর্যায়ে সেচ প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিবার সেচ প্রয়োগের পূর্বে মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। মাল্চ ব্যবহার করার ফলে এ পদ্ধতিতে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতার শতকরা ১০০ ভাগ এর পরিবর্তে ৮০ ভাগ পানি প্রয়োগ করেও ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের পুরা মৌসুমে ২৩০-২৪০ মিঃমিঃ পানির প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে হেক্টরে ১৫০০-১৬০০ কেজি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন সম্ভব। মাল্চ ব্যবহার করার ফলে শতকরা ২০ ভাগ কম পানি প্রয়োগ করেও সর্বাচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভব।
মাল্চ ব্যবহারের ফলে আগাছার উপদ্রব কম হয়। রোপনের তিন এবং ছয় সপ্তাহ পর সার প্রয়োগের পূর্বে দুই বার আগাছা পরিস্কার করতে হয়। এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৫.১৭ঃ১ এবং প্রতি হেক্টরে জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে ১০,০০,০০০-১১,০০,০০০ টাকা নীট মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। মাল্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ৫-১৭% ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে ১২০০-১৩০০ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। খরা প্রবণ এলাকায় এই প্রযুক্তি আরও অধিকতর কার্যকরী।। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন কম হয় যা পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সেচ ও মাল্চ প্রযুক্তি (ছবি-১)

পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সেচ ও মাল্চ প্রযুক্তি (ছবি-২)


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back