Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :কলার চিপস তৈরিকরণ পদ্ধতি

বিস্তারিত বিবরণ : 
কলা বাংলাদেশের বিভিন্ন ফলের মধ্যে অন্যতম একটি উৎকৃষ্ট জনপ্রিয় সুস্বাদু, সহজ পাচ্য ও পুষ্টিকর ফল। কলায় খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ পদার্থ অন্যান্য ফলের তুলানায় বেশী থাকে। এটি কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। মাটিমুক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি এবং সঠিক স্থানান্তর প্রযুক্তির অভাবে কলার পরিমাণগত ও গুণগত মানের প্রচুর অপচয় ঘটে। কাঁচা কলার চিপ্স তৈরি একটি সহজ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি যার মাধ্যমে কলার অপচয় বহুলাংশে রোধ করা সম্ভব। পরিপক্ক কাঁচকলা/ মেহের সাগর কলা নিন। বটি অথবা ছুরি দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসামুক্ত কলালো ০.০৫% সাইট্রিক এসিডের দ্রবণ অথবা লেঁবুর রস ( ১টি লেঁবুর ৪ ভাগের ১ ভাগ ১ কেজি পানিতে লেঁবুর রস মিশাতে হবে) মিশ্র্রিত পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। অতঃপর স্লাইসার দিয়ে কলাগুলোকে ১.৫-১.৭৫ মি.মি পুরু করে গোল গোল করে অথবা লম্বালম্বিভাবে (৫-৬ সে.মি. লম্বা) স্লাইস করুন (লম্বা স্লাইসের জন্য কলাগুলো মাঝামাঝি অংশ ২ ভাগে ভাগ করে কাটতে হবে)। স্লাইসগুলো পুনরায় এসিড/লেঁবুর রস মিশ্রিত পানিতে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এবার স্লাইসগুলো একটি ঝাঝরা চামচ দিয়ে উঠিয়ে বাঁশের চালনী/এলুমিনিয়ামের চালনীতে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। পানি ঝরানো শেষ হলে স্লাইসগুলো সয়াবিন তেল/ পামওয়েল ভালভাবে ভেজে নিন। চিপস্ এর গায়ে লাগানো তেল শোষনের জন্য ভাঁজা চিপস্ গুলো কাগজ/টিস্যু পেপারের উপর রেখে দিন। এবার চিপস্ গুলোতে পরিমাণমত লবণ ও মসলা মিশিয়ে পরিবেশন করুন। সংরক্ষণ করতে হলে পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ অথবা প্লাষ্টিকের বয়মে রেখে মুখ ভালভাবে বন্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে। সংরক্ষণকালে চিপস্ গুলোতে লবণ পরে মেশানোই উত্তম।

পানি ঝরানোর পর বাঁশের চালুনিতে কলার ফালি (ছবি-১)

পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগে ভর্তি কলার চিপস্ (ছবি-২)


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back