Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :ভৌত ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে বীজের সুপ্ততা ভেঙ্গে এবং বপনের সঠিক সময় নির্ধারণের মাধ্যমে করলার মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন

বিস্তারিত বিবরণ : 
বাংলাদেশে করলা একটি অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। কোন ফসলের অধিক বীজ উৎপাদনের প্রথম শর্ত হলো একক জমিতে কাঙ্খিত সংখ্যায় গাছ থাকা। বীজের সুপ্ততা থাকলে অনেক সময় জমিতে কাঙ্খিত গাছ পাওয়া যায় না। আবার সুপ্ততার কারনে একই সময়ে বীজ গজায় না বিধায় জমিতে সব গাছের বাড়-বাড়তি সমান হয় না, যা ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই বপনের আগে করলা বীজের সুপ্ততা ভেংগে নেয়া আবশ্যক। করলা বীজকে ১% পটাশিয়াম নাইট্রেট অথবা ১% বরিক এসিড অথবা স্বাভাবিক পানিতে ১৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে বীজের সুপ্ততা হ্রাস পায় এবং অংকুরোদগম হার বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বীজহার কম লাগে এবং কৃষকের উৎপাদন খরচ কম পড়ে। করলা উষ্ণ ও অবউষ্ণ অঞ্চলের ফসল। এটি দিন নিরপেক্ষ সবজি এবং ইহা উষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ করে। মানসম্মত করলা বীজ উৎপাদনের জন্য বর্ষা ঋতুর চেয়ে গ্রীষ্ম ঋতু অধিকতর ভাল । সময়মত বীজ শুকানো না গেলে বীজের মান ভাল হয় না। এজন্য এদেশের কৃষকেরা বর্ষা ঋতুতে করলা বপন করে ভাল মানের বীজ উৎপাদন করতে পারে না। এই বীজ থেকে কৃষকেরা সুস্থ ও সবল চারা পায় না, ফলশ্রুতিতে অধিক খরচ করেও ভাল উৎপাদন পায় না। এজন্য কৃষকদের এমনভাবে বীজ বপন করতে হবে যেন বর্ষার শুরুর পূর্বেই অথবা শুরুতেই বীজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। বেশী আগাম বপন করলে অতি শীতের প্রকোপে করলা গাছের বাড়-বাড়তি কম হওয়ায় একক প্রতি করলা বীজের মোট ফলন কমে যায়। অক্টোবর মাসের থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত করলা বীজ বপন করে দেখা যায় যে, ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত করলা বীজ বপন করা উত্তম। এই সময়ে বীজ বপন করে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীজ সংগ্রহ করা হলে সবচেয়ে বেশী গজানো হার সম্পন্ন অধিক বীজ পাওয়া যায়। ফলে এদেশের কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back