Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :পরিপক্ক ফলের রং, শুকানোর ধরন এবং সঠিক পাত্রে সংরক্ষণের মাধ্যমে মরিচের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন

বিস্তারিত বিবরণ : 
বাংলাদেশে মরিচ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন মসলা জাতীয় ফসল। মরিচের ঝাঁজ, স্বাদ ও রংয়ের জন্য রান্নার কাজে মরিচ একটি অপরিহার্য ফসল। কাঁচা মরিচ ভিটামিন এ, সি এবং কেরোটিন সমৃদ্ধ। ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য শক্ত-সবল চারা তথা মানসম্পন্ন বীজ অত্যাবশ্যক। ফসলের পরিপক্কতা মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে এবং গুদামে সংরক্ষনের বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরাগায়নের ৬০-৭০ দিনের সময় অর্থাৎ গাছের বয়স যখন ১২৫-১৩৫ দিন হয় তখন ফল পরিপক্ক হয়। এই সময় মরিচের ফল হালকা লালচে রং ধারন করে। বীজে শুস্ক পদার্থের পরিমান সবচেয়ে বেশী থাকে। তখন বীজের আর্দ্রতা থাকে ২৯% এবং বীজ গজানোর হার প্রায় ৯৬%। মরিচের ফল বোটাসহ সংগ্রহ করতে হবে। বীজ শুকানোর পদ্ধতি এবং গুদামে বীজ সংরক্ষন পদ্ধতিও বীজের মান নির্ণয়ে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে। সংগ্রহীত মরিচের ফলকে কৃষকেরা সাধারনত রৌদ্রে শুকিয়ে থাকেন। রৌদ্রে (৩০-৩৪ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায়) ৬ দিন (প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে ) মরিচ ফল শুকানো ভালো। আবার রৌদ্রে শুকানোর চেয়ে ৪০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায় ৩ দিন (চলমান) ওভেনে শুকানো বীজের মান ভালো হয়ে থাকে। ওভেনে শুকানো বীজের গজানোর হার ৮০% হয়ে থাকে। খোসা সহ বীজ শুকালে তা থেকে খোসা ছাড়ানো বীজের চেয়ে ভালো মানের বীজ পাওয়া যায়। মরিচ ফল শুকানোর পর বায়ুরোধী টিন অথবা প্লাষ্টিক পাত্রে অথবা পলিথিন ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back