Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :উঁচু বেড পদ্ধতি ও অধিক হারে পটাশিয়াম সার প্রয়োগে লবণাক্ত অঞ্চলে হাইব্রিড ভুট্টা উৎপাদন ।

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ লবণাক্ত অঞ্চলে (নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরগুণা, বাগেরহাট, খুলনা প্রভৃতি) ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য ১০-১২ ইঞ্চি উঁচু বেড তৈরী করে প্রচলিত সুপারিশের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ অধিক পটাশিয়াম প্রয়োগ করে হাইব্রিড ভুট্টা (বারি হাইব্রিড মেইজ-৭) চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৮-১০ টন ফলন পাওয়া সম্ভব যা সনাতনী পদ্ধতির ফলনের তুলনায় ৩৫-৪০% অধিক। অধিক হারে পটাশিয়াম সার প্রয়োগ ও বেড উঁচু হওয়ার কারণে গাছের মূলাঞ্চলে ক্ষতিকর সোডিয়ামের কার্যকারিতা কমে যায় ও গাছ কর্তৃক পটাশিয়াম পরিশোষণ বৃদ্ধি পায় ফলে গাছের জৈবিক ক্রিয়া, পানির প্রবাহ ও অন্যান্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদান কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। মৃত্তিকা পদার্থ শাখা নোয়াখালী (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১৮) ও পটুয়াখালী (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১৩) অঞ্চলে বিগত তিন বছর গবেষণা করে উক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
সার সুপারিশ (মৃত্তিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রয়োগ বিধেয়):
সারের নাম সারের মাত্রা(কেজি/হেক্টর)
ইউরিয়া ৬০০-৬৫০
টিএসপি ২৮০-৩৪০
এমওপি ১৬৫-২৭০
জিপসাম ১৬০-১৮০
জিংক সালফেট(মনো হাইড্রেট) ১০-১৫
বরিক এসিড ৬-৮

সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ ইউরিয়া সার সমান তিনভাগ করে একতৃতীয়াংশ বীজ গজানোর ৫দিন পর, একতৃতীয়াংশ বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিন পর এবং বাকী অংশ বীজ বপনের ৫০-৬০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। সমুদয় টিএসপি ও জিপসাম এবং দুই তৃতীয়াংশ এমওপি জমি তৈরীর শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। জিংক সালফেট ও বরিক এসিড একটি প্লাস্টিকের বালতি বা গামলায় ঝুর ঝুরে মাটির সাথে মিশ্রিত করে জমি প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ে মটিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। বাকী একতৃতীয়াংশ এমওপি সার ২য় কিস্তি ইউরিয়া সারের সাথে প্রয়োগ বিধেয়।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back