Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :বায়ো-স্নারী ও রাসায়নিক সারের সমন্বিত প্রয়োগে মিষ্টি মরিচ উৎপাদন

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ গরুর গোবর বা মুরগীর বিষ্ঠা বায়োগ্যাস ডাইজেষ্টারের ভিতরে পরিপাক বা কোমলায়িত হওয়ার পর আউটলেট দিয়ে অর্ধতরল অবস্থায় বের হয়ে আসলে তাকে বায়ো-স্লারী বলে। বায়ো-স্লারী একটি অতি উন্নত মানের জৈব সার। তরল বায়ো-স্লারী শুকিয়ে জমিতে ব্যবহার করা হয়। বায়ো-স্লারী মাটির জন্যে একটি চমৎকার কন্ডিসনার কারন এটা মটিতে জৈব পদার্থ ও হিউমাস সংযোজন করে এবং মাটিতে অনুজীবীয় কার্যাবলীকে সক্রিয় করে, ফলে মাটির উৎকর্ষতা এবং পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* অনুমোদিত মাত্রা হইতে ২৫% অজৈব সার ব্যবহার কমানো যাবে।
* বায়ো-স্লারী রোগজীবানুমুক্ত। বায়োগ্যাস প্লান্টে গোবর বা মুরগীর বিষ্ঠা পরিপূর্ণ পচনের ফলে তার ভেতরে বিরাজমান রোগ-জীবানু মরে যায়।
* বায়োস্লারী প্রয়োগের মাধ্যমে মিষ্টি মরিচের অম্লতা ০.২৫ একক হ্রাস পায় ফলশ্রুতিতে ভিটামিন সি এর পরিমান ৩৫% বৃদ্ধি পায়
* মিষ্টি মরিচের মিষ্টতা ও অটলতা অনুমোদিত অজৈব সারের তুলনায় যথাক্রমে ৩০% ও ১২.৫% বৃদ্ধি পায়।
* মৃত্তিকা রসায়ন শাখা ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে গাজীপুর, অঞ্চলে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে ।
শস্য মিষ্টি মরিচ
রোপণ দূরত্বঃ সারি- সারি: ৫০ সে.মি., চারা- চারা: ৫০ সে.মি
সারের পরিমাণঃ
মিষ্টি মরিচের গুণগতমান বৃদ্ধি ও সেলফ লাইফ বাড়ানোর জন্য জৈব সার-অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই অজৈব সার প্রয়োগের পরিমাণ কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করা মিষ্টি মরিচ চাষের জন্য উত্তম পদ্ধতি। মান সম্পন্ন মিষ্টি মরিচ পেতে হলে নিম্নলিখিত পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে।
সারের নাম হেক্টর প্রতি পরিমাণ
বায়োস্লারী ৩টন
ইউরিয়া ১৯০কেজি
টিএসপি ২৬৫কেজি
এমওপি ১৮০কেজি
জিপসাম ৬০কেজি
জিংক সালফেট ৫কেজি
বরিক এসিড ৫কেজি

সার প্রয়োগ পদ্বতি
শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ বায়োস্লারী, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট সার জমিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সার চারা রোপনের ১০, ৩৫ ও ৬০ দিন পর সমানভাবে তিন বারে প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা ও ফল সংগ্রহ
চারা রোপনের পর মিষ্টি মরিচের বেডের উপরে মশারীর মত করে আচ্ছাদিত করে রাখতে হবে যাতে করে মাকড় আক্রমণ করতে না পারে। মিষ্টি মরিচের জমি সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে এবং সেচ প্রদান করতে হবে। মিষ্টি মরিচ প্রথমে সবুজ বর্ণ থাকে এবং যখন পরিপক্ক হয় তখন হলুদ বর্ণ এবং পরবর্তীতে লাল ও কমলাবর্ণ হয়। কি রকমের মিষ্টি মরিচ দরকার তার উপর নির্ভর করে ফল সংগ্রহ করতে হয়।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back