Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :ছোলা উৎপাদনে রাইজোবিয়াম অণুজীব সারের ব্যবহার

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ ছোলা প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ডাল। রাজশাহী, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, যশোর ও বরিশালসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় রবি মৌসুমে ছোলা চাষ করা যায়। এই ফসল চাষে জমিতে ইউরিয়া সারের পরিবর্তে রাইজোবিয়াম অণুজীব সার ব্যবহার করলে ফলন ভাল হয় এবং মাটির অবস্থাও ভাল থাকে। অণুজীব সার বা জীবাণু সার এক ধরনের বিশেষ উপকারী অণুজীরেব দ্বারা তৈরি করা হয়। এরা ডাল জাতীয় গাছের সাথে বিশেষ সম্পর্কের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডল থেকে নাইট্রোজেন সঞ্চায়ন করে। ছোলা গাছের শিকড়ে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া গুটি বা নডিউল তৈরি করে। উক্ত ব্যাকটেরিয়া বায়ুমন্ডল থেকে নাইট্রোজেন সঞ্চায়ন করে ছোলা গাছকে দেয় এবং বিনিময়ে ছোলা গাছ থেকে নিজের জন্য কার্বোহাইড্রেট নেয়। হেক্টর প্রতি ১.৫ কেজি অণুজীব সার ব্যবহার করে ছোলার বিভিন্ন জাতে ১৪-৩৫ ভাগ ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। মৃত্তিকা অণুজীবতত্ত্ব শাখা ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে ।
উৎপাদন প্রযুক্তি
বিষয় বিবরণ
ফসল ছোলা
জাত বারি ছোলা-৯, অগ্রবর্তী লাইন বিসিএক্স-০৬০০১-১১,বিসিএক্স-০৫০০১-৪ এবং বিসিএক্স-০৫০০৮-১১,
জমি ও মাটি উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ
বপনের সময় নভেম্বর
বীজের হার(কেজি/হেক্টর) ৩৫
বপন পদ্ধতি সারি থেকে সারির দুরত্ব ৩০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দুরত্ব ১৫ সেমি
রাইজোবিয়াম স্ট্রেইন বারি আর সিএ-২২০
সারের মাত্রা (কেজি/হেক্টর)
অণুজীব সার ১.৫ কেজি
টিএসপি ১১২
এমওপি ৮৪
জিপসাম ১২৫
জিংক সালফেট ১৪
গোবর(টন/হেক্টর) ৫টন
সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিএআরআই এর মৃত্তিকা অণুজীবতত্ত্ব শাখা কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি আরসিএ-২২০ স্ট্রেইন দিয়ে তৈরিকৃত অণুজীব সার প্রতি হেক্টরে ১.৫ কেজি হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিমাণমত গাম বা শুধুমাত্র পানি দিয়ে বীজের সাথে অণুজীব সার মিশাতে হবে। ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় রেখে অণুজীব সার মিশ্রিত বীজ বাতাসে শুকাতে হবে। অণুজীব সার ছাড়া অন্যান্য রাসায়নিক সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে।



প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back