Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :চীনাবাদাম উৎপাদনে রাইজোবিয়াম অণুজীব সার, ভার্মিকম্পোস্ট ও রাসায়নিক সারের সমন্বিত ব্যবহার

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ চীনাবাদাম একটি অর্থকরী তেল জাতীয় ফসল। এটি একটি উৎকৃষ্ঠ ভোজ্য তেল বীজ। বীজে ৪৮-৫০% তেল ও ২২-২৯% আমিষ রয়েছে। গাজীপুর, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, মাদারীপুর, রংপুরসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বেলে দোআঁশ মাটিতে চীনাবাদাম চাষ করা যায়। এই ফসল চাষে জমিতে ইউরিয়া সারের পরিবর্তে রাইজোবিয়াম অণুজীব সার ও ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহার করলে ফলন ভাল হয় এবং মাটির অবস্থাও ভাল থাকে। অণুজীব সার বা জীবাণু সার এক ধরনের বিশেষ উপকারী অণুজীরেব দ্বারা তৈরি করা হয়। এরা তেল জাতীয় ফসলের (সোয়াবিন ও চীনাবাদাম) সাথে বিশেষ সম্পর্কের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডল থেকে নাইট্রোজেন সঞ্চায়ন করে। চীনাবাদাম গাছের শিকড়ে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া গুটি বা নডিউল তৈরি করে। উক্ত ব্যাকটেরিয়া বায়ুমন্ডল থেকে নাইট্রোজেন সঞ্চায়ন করে চীনাবাদাম গাছকে দেয় এবং বিনিময়ে চীনাবাদাম গাছ থেকে নিজের জন্য কার্বোহাইড্রেট নেয়। ১.৫ কেজি/হেক্টর রাইজোবিয়াম ইনোকুলাম, ৫ টন/হেক্টর ভার্মিকম্পোস্ট ও ইউরিয়া বাদে অন্যান্য রাসায়নিক সার সমন্বিত ভাবে ব্যবহার করে চীনাবাদামের শতকরা ১৪-৪৭ ভাগ ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। মৃত্তিকা অণুজীবতত্ত্ব শাখা ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে ।
উৎপাদন প্রযুক্তি
বিষয় বিবরণ
ফসল চীনাবাদাম
জাত বারি চীনাবাদাম-৮
জমি ও মাটি উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ
বপনের সময় নভেম্বর
বীজের হার(কেজি/হেক্টর) ১০০-১১০ (খোসা সহ)
বপন পদ্ধতি সারি থেকে সারির দুরত্ব ৩০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দুরত্ব ১৫ সেমি
রাইজোবিয়াম স্ট্রেইন বারি আর এএইচ-৮৯২
সারের মাত্রা (কেজি/হেক্টর)
অণুজীব সার ১.৫ কেজি
টিএসপি ১১২
এমওপি ৮৪
জিপসাম ২৫০
জিংক সালফেট ১৪
বোরিক এসিড ৫.৮৮
ভার্মিকম্পোস্ট(টন/হেক্টর)
সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিএআরআই এর মৃত্তিকা অণুজীব শাখা কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি আরএএইচ-৮৯২ স্ট্রেইন দিয়ে তৈরিকৃত অণুজীব সার প্রতি হেক্টরে ১.৫ কেজি হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিমাণমত গাম বা শুধুমাত্র পানি দিয়ে বীজের সাথে অণুজীব সার মিশাতে হবে। ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় রেখে অণুজীব সার মিশ্রিত বীজ বাতাসে শুকাতে হবে। অণুজীব সার ছাড়া অন্যান্য রাসায়নিক সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে।



প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back