কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার

প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :গর্তের ভিতরে বিষটোপ প্রয়োগ করে ইঁদুর দমন
বিস্তারিত বিবরণ :
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ইঁদুর আমাদের প্রধান সমস্যা। গোলাঘর ও মাঠে ইঁদুর ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। তাছাড়াও ইঁদুর নানা প্রকার রোগ ছড়ায়। বেশীর ভাগ ইঁদুর গর্তে বাস করে বলে সম্পূর্ণভাবে দমন বা নির্মুল করা সম্ভব হয় না তাই এদের সংখ্যা কমিয়ে মুল্যবান ফসল রক্ষা করে খাদ্যভাব দূর করার চেষ্টা করতে হবে। ইঁদুর দমনের জন্য কৃষকগণ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। যেমন-ফাঁদ পেতে বা গর্তে পানি দিয়ে ইঁদুর দমন। এলুমিনিয়াম ফসফাইড নামক এক প্রকার গ্যাস বড়ি দিয়েও ইঁদুর দমন করা যায়। অধিকাংশ কৃষকই ইঁদুর দমনের জন্য বিষটোপ ব্যবহার করে।
আমাদের দেশে দুই প্রকার বিষটোপ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। একটি হলো দীর্ঘ মেয়াদী বিষটোপ যেমন- ল্যানিরেট, ক্লেরেট ইত্যাদি এই বিষটোপ দিয়ে ইঁদুর মারতে ৬-৭ দিন সময় লাগে। এই বিষটোপ ব্যবহার কোন প্রকার বিষটোপ লাজুকতা দেখা যায় না, সময় একটু বেশি লাগলেও ইঁদুর দমনের সফলতা বেশী আসে। অপরটি হলো তাৎক্ষনিক বিষ যেমন-জিংক ফসফাইড বিষটোপ। বিষটোপ ব্যবহারের একদিন পরই ইঁদুর মারা যায়। দীর্ঘ মেয়াদী বিষটোপের চেয়ে দাম কম বলে কৃষকগণের মাঝে এই বিষ টোপের কদর বেশি। কারন যেখানে ইঁদুরের উপদ্রব আছে বা ইঁদুরের গর্ত আছে সেখানে এই বিষটোপ কাগজের উপর রাখা হয়। এই বিষটোপ খেয়ে ইঁদুর মারা যায়। জমির উপর এ ভাবে বিষটোপ দিয়ে ইঁদুর দমন করা বর্তমানের প্রচলিত নিয়ম। এ পদ্ধতির একটি বড় সমস্যা হল, প্রায়ই ইঁদুর এ বিষটোপ খেতে চায় না এবং বৃষ্টি বাদলের দিনে ভিজে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি যার ফলে ইঁদুর দমনে কাংখিত সফলতা আসে না। বিশেষকরে গম বা ধান ক্ষেতে যখন ইঁদুরের আক্রমণ হয় তখন পাকা গম বা ধান না খেয়ে বিষটোপ খাবার সম্ভবনা থাকে খুবই কম। এ জমির উপরে বিষটোপ না দিয়ে ৪-৫ গ্রাম বা আধা চা-চামচ বিষটোপ একনটি কাগজ দিয়ে পুটলি বেঁধে গর্তের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, গর্তের ভিতর কাগজের পুটলিটি এমনভাবে নিক্ষেপ করতে হবে যেন গর্তের মুখ থেকে আনুমানিক ১০-১২ ইঞ্চি ভেতরে যায়। প্রয়োজনে একটি ছোট কাঠি দিয়ে গর্তের ভিতরে ঠেলে দেয়া যেতে পারে। তবে সব সময় লক্ষ রাখতে হবে কাগজটি যেন কখনো মাটির নীচে চাপা না পড়ে। এরপর গর্তের মুখ হালকভাবে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে বিষটোপ প্রয়োগের সুবিধা (১) এই বিষটোপ ইঁদুর খায় বেশি এবং (২) অন্য কোন প্রাণী যেমন পাখি, বিড়াল, কুকুর বা অন্যান্য পোষা প্রাণী এই বিষটোপ খেতে পারে না। এতে অপ্রত্যাশিত প্রাণী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও খুব কম। মৃত ইঁদুর গর্তের ভিতর থাকে বলে মৃত ইঁদুর খেয়ে কাক, চিল ও বিড়াল মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বর্তমান পদ্ধতি থেকে এই পদ্ধতির সফলতা প্রায় পঁচিশ শতাংশ বেশি অথচ কৃষক ভাইদের তেমন কোন বাড়তি খরচ নেই।
গর্তের ভিতরে বিষটোপ প্রয়োগ
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ইঁদুর আমাদের প্রধান সমস্যা। গোলাঘর ও মাঠে ইঁদুর ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করে থাকে। তাছাড়াও ইঁদুর নানা প্রকার রোগ ছড়ায়। বেশীর ভাগ ইঁদুর গর্তে বাস করে বলে সম্পূর্ণভাবে দমন বা নির্মুল করা সম্ভব হয় না তাই এদের সংখ্যা কমিয়ে মুল্যবান ফসল রক্ষা করে খাদ্যভাব দূর করার চেষ্টা করতে হবে। ইঁদুর দমনের জন্য কৃষকগণ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। যেমন-ফাঁদ পেতে বা গর্তে পানি দিয়ে ইঁদুর দমন। এলুমিনিয়াম ফসফাইড নামক এক প্রকার গ্যাস বড়ি দিয়েও ইঁদুর দমন করা যায়। অধিকাংশ কৃষকই ইঁদুর দমনের জন্য বিষটোপ ব্যবহার করে।
আমাদের দেশে দুই প্রকার বিষটোপ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। একটি হলো দীর্ঘ মেয়াদী বিষটোপ যেমন- ল্যানিরেট, ক্লেরেট ইত্যাদি এই বিষটোপ দিয়ে ইঁদুর মারতে ৬-৭ দিন সময় লাগে। এই বিষটোপ ব্যবহার কোন প্রকার বিষটোপ লাজুকতা দেখা যায় না, সময় একটু বেশি লাগলেও ইঁদুর দমনের সফলতা বেশী আসে। অপরটি হলো তাৎক্ষনিক বিষ যেমন-জিংক ফসফাইড বিষটোপ। বিষটোপ ব্যবহারের একদিন পরই ইঁদুর মারা যায়। দীর্ঘ মেয়াদী বিষটোপের চেয়ে দাম কম বলে কৃষকগণের মাঝে এই বিষ টোপের কদর বেশি। কারন যেখানে ইঁদুরের উপদ্রব আছে বা ইঁদুরের গর্ত আছে সেখানে এই বিষটোপ কাগজের উপর রাখা হয়। এই বিষটোপ খেয়ে ইঁদুর মারা যায়। জমির উপর এ ভাবে বিষটোপ দিয়ে ইঁদুর দমন করা বর্তমানের প্রচলিত নিয়ম। এ পদ্ধতির একটি বড় সমস্যা হল, প্রায়ই ইঁদুর এ বিষটোপ খেতে চায় না এবং বৃষ্টি বাদলের দিনে ভিজে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি যার ফলে ইঁদুর দমনে কাংখিত সফলতা আসে না। বিশেষকরে গম বা ধান ক্ষেতে যখন ইঁদুরের আক্রমণ হয় তখন পাকা গম বা ধান না খেয়ে বিষটোপ খাবার সম্ভবনা থাকে খুবই কম। এ জমির উপরে বিষটোপ না দিয়ে ৪-৫ গ্রাম বা আধা চা-চামচ বিষটোপ একনটি কাগজ দিয়ে পুটলি বেঁধে গর্তের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, গর্তের ভিতর কাগজের পুটলিটি এমনভাবে নিক্ষেপ করতে হবে যেন গর্তের মুখ থেকে আনুমানিক ১০-১২ ইঞ্চি ভেতরে যায়। প্রয়োজনে একটি ছোট কাঠি দিয়ে গর্তের ভিতরে ঠেলে দেয়া যেতে পারে। তবে সব সময় লক্ষ রাখতে হবে কাগজটি যেন কখনো মাটির নীচে চাপা না পড়ে। এরপর গর্তের মুখ হালকভাবে মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে বিষটোপ প্রয়োগের সুবিধা (১) এই বিষটোপ ইঁদুর খায় বেশি এবং (২) অন্য কোন প্রাণী যেমন পাখি, বিড়াল, কুকুর বা অন্যান্য পোষা প্রাণী এই বিষটোপ খেতে পারে না। এতে অপ্রত্যাশিত প্রাণী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনাও খুব কম। মৃত ইঁদুর গর্তের ভিতর থাকে বলে মৃত ইঁদুর খেয়ে কাক, চিল ও বিড়াল মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বর্তমান পদ্ধতি থেকে এই পদ্ধতির সফলতা প্রায় পঁচিশ শতাংশ বেশি অথচ কৃষক ভাইদের তেমন কোন বাড়তি খরচ নেই।

গর্তের ভিতরে বিষটোপ প্রয়োগ
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।