Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :সমন্বিত পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 
ইঁদুর মাঠ এবং গোলাজাত ফসলের প্রধান সমস্যা। মুরগির খামারেও ইঁদুর মরাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। কৃষকরা সাধারণত ফাঁদ পেতে এবং বিষটোপ প্রয়োগ করে ইঁদুর দমন ক‌রে থাকে। পরপর ক‌য়েদিন একাধারে ফাঁদ পাতলে বা বিষটোপ প্রয়োগ করলে ইঁদুর আর ফাঁদে পড়তে চায় না বা বিষটোপ খেতে চায় না। একে যথা‌ক্রমে ইঁদুরের ফাঁদ লাজু‌কতা বা বিষটোপ লাজু‌কতা বলে। দমন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আমরা এ সমস্যা দূর করতে পারি। অর্থাৎ লাজুক‌তা দেখা দিলে আমাদের বিষটোপ ব্যবহার ক‌রতে হবে। আবার বিষটোপ লাজুকতা দেখা দিলে ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে এ ছাড়া অরাসায়নি‌ক এবং রাসায়নিক পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অধিক সফলতার সাথে ইঁদুর দমন করা যায়। প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে যদি শুধু ফাঁদ ব্যবহার করা হয় তাহলে গড়ে মাত্র ৩০-৪০ ভাগ সফলতা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র তীব্র বিষ যেমন-জিংক ফসফাইড বিষটোপ ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রায় ৬০-৭০% সফলতা পাওয়া যায়। ইঁদুর আক্রান্ত কোন স্থানে যদি প্রথমে ৩ দিন ফাঁদ ব্যবহার করে তারপর ৩ দিন তীব্র বিষ এবং পরবর্তী ৩ দিন দীর্ঘস্থায়ী বিষ ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রায় ৯৭-৯৮ ভাগ সফলতা পাওয়া যায়। ইঁদুরের আক্রমণের মাত্রা ও তীব্রতা লক্ষ্য করে ২ টি অথবা ৩ টি দমন ব্যবস্থা নির্বাচন করা যায়। কৃষকেরা বিভিন্ন পদ্ধতি সমন্বিতভাবে ব্যবহার করে অধিক‌ সফলভাবে ইঁদুর দমন ‌করতে পারে।

মরণ ফাঁদ

জীবন্ত ফাঁদ

তীব্র বিষ : জিংক ফসফাইড বিষটোপ

দীর্ঘস্থায়ী বিষ : ল্যানিরেট


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back