কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :পেঁয়াজ/মুগডাল-পাট-রোপা আমন ধান: কুড়িগ্রাম অঞ্চলের একটি চার ফসল ভিত্তিক উন্নত ফসল বিন্যাস
বিস্তারিত বিবরণ :
কুড়িগ্রাম অঞ্চলে (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩) প্রচলিত ফসল ধারা পেঁয়াজ-পাট-রোপা আমন ধান এই ফসল ধারায় মুগডাল অন্তর্ভূক্ত এবং উন্নত জাত ব্যবহার করায় ধানের সমতুল্য ফলন ২৫.৬৫ টন/হেক্টর পাওয়া সম্ভব হয়েছে যেখানে প্রচলিত ফসল ধারার ধানের সমতুল্য ফলন ১৯ টন/হেক্টর।উপযোগী অঞ্চল: কুড়িগ্রাম ও কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩ এর অনুরূপ অঞ্চল
উৎপাদন প্রযুক্তি
পেঁয়াজের জন্য বারি পেঁয়াজ-১, মুগডালের জন্য বারি মুগ-৬, পাটের জন্য ও-৯৮৯৭ এবং রোপা আমন ধানের ব্রি ধান৪৯ জাত ব্যবহার করতে হবে। বপন/রোপন দূরত্ব হবে পেঁয়াজের জন্য ১৫x১০ সেমি ও মুগডাল ৩০ সেমি দূরত্বে অবিরত । পাট ছিটিয়ে বুনতে হবে এবং রোপা আমন ধান ২০x১৫ সেমি দূরত্বে রোপন করতে হবে।পেঁয়াজ নভেম্বরের ৩য় সপ্তাহে, মুগডাল মার্চের শেষ সপ্তাহে, পাট মে মাসের ২য় সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান আগষ্টের ২য় সপ্তাহে বপন/রোপন করতে হবে।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
পেঁয়াজ: অর্ধেক ইউরিয়া ও পটাশসহ সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় বাকী সার সমান দুই ভাগ করে রোপনের ২৫ এবং ৫০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। রোপনের ৩৫ দিন পর থ্রিপস দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ২ মিলিলিটার প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: মার্চের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ১১.২ টন/হেক্টর।
মুগডাল: সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় প্রয়োগ করতে হবে।আগাছা দমন এবং পাতলা করণ বীজ বপনের ২০ দিনের মধ্যে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: মে এর ২য় সপ্তাহ। ফলন: ০.৯০ টন/হেক্টর।
পাট: অর্ধেক ইউরিয়া এবং বাকী সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় এবং বাকী অর্ধেক বপনের ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তোষা পাটে খরার সময় হলুদ মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। সেই সময় থিওভিট ৮০% প্রতিবার ৫ লিটার পানির সাথে ৩৫ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে তিন দিন পাতার নীচের দিকে স্প্রে করলে মাকড় দমন করা যায়। ফসল সংগ্রহ: আগষ্টের ১ম সপ্তাহ। ফলন: ২.৬ টন/হেক্টর।
রোপাঅমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সমান তিনভাগে ভাগ করে চারা রোপনের ১০,৩০, ও ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।স্টেমবোরার দমনের জন্য ফুরাডান ১৫ কেজি/হেক্টর দ্বিতীয় বার আগাছা দমনের সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.৬ টন/হেক্টর। এই ফসল ধারার মোট আয় হেক্টর প্রতি ৪২৩১৪৬ টাকা, উৎপাদন ব্যয় হেক্টর প্রতি ২৭২৬৭৫ টাকা এবং লাভ খরচের অনুপাত ১.৫৫।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
কুড়িগ্রাম অঞ্চলে (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩) প্রচলিত ফসল ধারা পেঁয়াজ-পাট-রোপা আমন ধান এই ফসল ধারায় মুগডাল অন্তর্ভূক্ত এবং উন্নত জাত ব্যবহার করায় ধানের সমতুল্য ফলন ২৫.৬৫ টন/হেক্টর পাওয়া সম্ভব হয়েছে যেখানে প্রচলিত ফসল ধারার ধানের সমতুল্য ফলন ১৯ টন/হেক্টর।উপযোগী অঞ্চল: কুড়িগ্রাম ও কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩ এর অনুরূপ অঞ্চল
উৎপাদন প্রযুক্তি
পেঁয়াজের জন্য বারি পেঁয়াজ-১, মুগডালের জন্য বারি মুগ-৬, পাটের জন্য ও-৯৮৯৭ এবং রোপা আমন ধানের ব্রি ধান৪৯ জাত ব্যবহার করতে হবে। বপন/রোপন দূরত্ব হবে পেঁয়াজের জন্য ১৫x১০ সেমি ও মুগডাল ৩০ সেমি দূরত্বে অবিরত । পাট ছিটিয়ে বুনতে হবে এবং রোপা আমন ধান ২০x১৫ সেমি দূরত্বে রোপন করতে হবে।পেঁয়াজ নভেম্বরের ৩য় সপ্তাহে, মুগডাল মার্চের শেষ সপ্তাহে, পাট মে মাসের ২য় সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান আগষ্টের ২য় সপ্তাহে বপন/রোপন করতে হবে।
সারের নাম | পরিমান (কেজি/হেক্টর) | |||||
পেঁয়াজ | মুগডাল | পাট | রোপাআমন ধান | |||
ইউরিয়া | ২১১ | ৯৮ | ২০ | ২৫০ | ||
টিএসপি | ২৬০ | ৪৫০ | ৭৫ | - | ||
এমওপি | ৩৩০ | ৬০ | ১৫০ | ৮০ | ||
জিপসাম >/td> | ১২৫ | ২৫ | ৬৩ | ৯৫ | ||
জিংক সালফেট | - | ৩ | - | - | ||
বরিক এসিড | ১৮ | ৭ | - | ১২ |
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
পেঁয়াজ: অর্ধেক ইউরিয়া ও পটাশসহ সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় বাকী সার সমান দুই ভাগ করে রোপনের ২৫ এবং ৫০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। রোপনের ৩৫ দিন পর থ্রিপস দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ২ মিলিলিটার প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: মার্চের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ১১.২ টন/হেক্টর।
মুগডাল: সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় প্রয়োগ করতে হবে।আগাছা দমন এবং পাতলা করণ বীজ বপনের ২০ দিনের মধ্যে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: মে এর ২য় সপ্তাহ। ফলন: ০.৯০ টন/হেক্টর।
পাট: অর্ধেক ইউরিয়া এবং বাকী সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় এবং বাকী অর্ধেক বপনের ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তোষা পাটে খরার সময় হলুদ মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। সেই সময় থিওভিট ৮০% প্রতিবার ৫ লিটার পানির সাথে ৩৫ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে তিন দিন পাতার নীচের দিকে স্প্রে করলে মাকড় দমন করা যায়। ফসল সংগ্রহ: আগষ্টের ১ম সপ্তাহ। ফলন: ২.৬ টন/হেক্টর।
রোপাঅমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সমান তিনভাগে ভাগ করে চারা রোপনের ১০,৩০, ও ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।স্টেমবোরার দমনের জন্য ফুরাডান ১৫ কেজি/হেক্টর দ্বিতীয় বার আগাছা দমনের সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.৬ টন/হেক্টর। এই ফসল ধারার মোট আয় হেক্টর প্রতি ৪২৩১৪৬ টাকা, উৎপাদন ব্যয় হেক্টর প্রতি ২৭২৬৭৫ টাকা এবং লাভ খরচের অনুপাত ১.৫৫।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।