কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে রোপাআমন-সরিষা-মুগডাল একটি উন্নত ফসল ধারা
বিস্তারিত বিবরণ :
খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নত ফসল ধারায় সরিষা ও মুগডাল অর্ন্তভূক্ত করায় ধানের সমতুল্য ফলন ১২.১৫ টন/হেক্টর যেখানে রোপাআমন ধান-পতিত-পতিত ফসল ধারায় ৪.৬৩ টন/হেক্টর পাওয়া যায় যা ১৬২% বৃদ্ধি পায় কৃষকের ফসল ধারার চেয়ে রোপাআমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী সরিষা ও মুগ অন্তভূর্ক্ত করা হয় এবং এতে মুনাফা ১২৫% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। উপযোগী অঞ্চল: খুলনার উপকূলবর্তী এলাকা এবং কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১১, ১৩ ও ১৪ এর অনরূপ অঞ্চল।
উৎপাদন প্রযুক্তি
সরিষার জন্য বারি সরিষা-১৪, মুগডালের জন্য বারি মুগ-৬ এবং রোপা আমন ধানের বিনা ধান-৭ জাত ব্যবহার করতে হবে। বপন/রোপন দূরত্ব হবে সরিষা ও মুগডাল ছিটিয়ে এবং রোপা আমন ধান ২০x১৫ সেমি। সরিষা নভেম্বর মাসে, মুগডাল ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান জুলাই এর শেষ সপ্তাহ থেকে আগষ্টের ২য় সপ্তাহে বপন/রোপন করতে হবে।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
সরিষা: ইউরিয়া ছাড়া বাকী সকল সার শেষ জমি প্রস্ত্ততের সময় এবং ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে বপনের ৭ ও ২০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সরিষাতে ১০-১২ এবং ২০-২২ দিনের ভিতরে দুই বার অতিরিক্ত চারা এবং আগাছা তুলে ফেলতে হবে। রোভরাল ডাব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম মিশিয়ে ৩ বার স্প্রে করে সরিষার অল্টারনেরিয়া ব্লাইট দমন করা যায়। ফসল সংগ্রহ: ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ১.৩ টন/হেক্টর।
মুগডাল: সকল সার শেষ জমি প্রস্ত্ততের সময় প্রয়োগ করতে হবে। আগাছা দমন এবং পাতলা করণ বীজ বপনের ২০ দিনের মধ্যে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: এপ্রিলের ৩য় সপ্তাহ থেকে মে এর ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ১.৪ টন/হেক্টর।
রোপা আমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সমান তিনভাগে ভাগ করে চারা রোপনের ১৫,৩০, ও ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। স্টেমবোরার দমনের জন্য ফুরাডান ১৫ কেজি/হেক্টর দ্বিতীয় বার আগাছা দমনের সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.৩ টন/হেক্টর। এই ফসল ধারার মোট আয় হেক্টর প্রতি ১৯৮৪৭০ টাকা, উৎপাদন ব্যয় হেক্টর প্রতি ১১০৯২২ টাকা এবং লাভ খরচের অনুপাত ১.৭৯।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নত ফসল ধারায় সরিষা ও মুগডাল অর্ন্তভূক্ত করায় ধানের সমতুল্য ফলন ১২.১৫ টন/হেক্টর যেখানে রোপাআমন ধান-পতিত-পতিত ফসল ধারায় ৪.৬৩ টন/হেক্টর পাওয়া যায় যা ১৬২% বৃদ্ধি পায় কৃষকের ফসল ধারার চেয়ে রোপাআমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী সরিষা ও মুগ অন্তভূর্ক্ত করা হয় এবং এতে মুনাফা ১২৫% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। উপযোগী অঞ্চল: খুলনার উপকূলবর্তী এলাকা এবং কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১১, ১৩ ও ১৪ এর অনরূপ অঞ্চল।
উৎপাদন প্রযুক্তি
সরিষার জন্য বারি সরিষা-১৪, মুগডালের জন্য বারি মুগ-৬ এবং রোপা আমন ধানের বিনা ধান-৭ জাত ব্যবহার করতে হবে। বপন/রোপন দূরত্ব হবে সরিষা ও মুগডাল ছিটিয়ে এবং রোপা আমন ধান ২০x১৫ সেমি। সরিষা নভেম্বর মাসে, মুগডাল ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান জুলাই এর শেষ সপ্তাহ থেকে আগষ্টের ২য় সপ্তাহে বপন/রোপন করতে হবে।
সারের নাম | পরিমান (কেজি/হেক্টর) | |||||
সরিষা | মুগডাল | রোপা আমন ধান | ||||
ইউরিয়া | ২৫০ | ৫০ | ১৮০ | |||
টিএসপি | ১৭০ | ৮৫ | ১২৫ | |||
এমওপি | ৮৫ | ৩৫ | ৭৫ | |||
জিপসাম (গ্রাম) | ১৫০ | - | ৬২.৫ | |||
জিংক সালফেট | ৫ | - | ৫ | |||
বরিক এসিড | ১০ | - | - |
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
সরিষা: ইউরিয়া ছাড়া বাকী সকল সার শেষ জমি প্রস্ত্ততের সময় এবং ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে বপনের ৭ ও ২০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সরিষাতে ১০-১২ এবং ২০-২২ দিনের ভিতরে দুই বার অতিরিক্ত চারা এবং আগাছা তুলে ফেলতে হবে। রোভরাল ডাব্লিউপি প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম মিশিয়ে ৩ বার স্প্রে করে সরিষার অল্টারনেরিয়া ব্লাইট দমন করা যায়। ফসল সংগ্রহ: ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ১.৩ টন/হেক্টর।
মুগডাল: সকল সার শেষ জমি প্রস্ত্ততের সময় প্রয়োগ করতে হবে। আগাছা দমন এবং পাতলা করণ বীজ বপনের ২০ দিনের মধ্যে করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: এপ্রিলের ৩য় সপ্তাহ থেকে মে এর ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ১.৪ টন/হেক্টর।
রোপা আমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সমান তিনভাগে ভাগ করে চারা রোপনের ১৫,৩০, ও ৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। স্টেমবোরার দমনের জন্য ফুরাডান ১৫ কেজি/হেক্টর দ্বিতীয় বার আগাছা দমনের সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.৩ টন/হেক্টর। এই ফসল ধারার মোট আয় হেক্টর প্রতি ১৯৮৪৭০ টাকা, উৎপাদন ব্যয় হেক্টর প্রতি ১১০৯২২ টাকা এবং লাভ খরচের অনুপাত ১.৭৯।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।