কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার

প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :প্রচলিত তামাক-বোরো-রোপা আমন ধান এর পরিবর্তে খরা এলাকার জন্য উপযোগী আলু-চিনাবাদাম-রোপা আমন ধান ফসল বিন্যাস
বিস্তারিত বিবরণ :
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ফসল উৎপাদনে ঝুকি বেড়েছে। আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন-তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, দিবস দৈর্ঘ্য ইত্যাদি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-খরা, বন্যা, লবণাক্ততা, জলোচ্ছাস ইত্যাদি ফসল উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব ফেলে। নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলায় তামাক-বোরো-রোপা আমন একটি প্রধান ফসল বিন্যাস। কিন্তু কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩ একটি খরা প্রবণ এলাকা সেখানে সেচের পানির ঘাটতি রয়েছে এবং এই অঞ্চলের মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম। বোরো ধান উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হয়। এমতাবস্থায় প্রচলিত ফসল বিন্যাসে বোরো ধানের পরিবর্তে চীনাবাদাম এবং তামাকের পরিবর্তে চীনাবাদাম এবং তামাকের পরিবর্তে আলুর অন্তর্ভূক্তি সুপারিশ করা হয়।প্রয়োগের স্থান: নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং পঞ্চগড় জেলা (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ৩)
উৎপাদন প্রযুক্তি
আলুর জন্য বারি আলু-১, চীনাবাদামের জন্য বারি চীনাবাদাম-৮ এবং রোপা আমন ধানের ব্রি ধান৪৯ ব্যবহার করতে হবে। বীজের হার হবে যথাক্রমে হেক্টরপ্রতি ১৫০০ কেজি, ৯৫-১০০ কেজি এবং ৩০-৩৫ কেজি। আলু নভেম্বরের ৩য় থেকে ৪র্থ সপ্তাহে, চীনাবাদাম ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান জুলাই এর ৩য় সপ্তাহে রোপন করতে হবে। বপন/রোপন দূরুত্ব যথাক্রমে ৬০x২৫, ৩০x১৫ এবং ২০x১৫।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
আলু: দুই তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও অন্যান্য সকল সার জমি শেষ চাষের সময় এবং বাকি ইউরিয়া রোপনের ৩০ দিন পর সারিতে মাটি তুলে দেয়ার সময় প্রয়োগ করতে হবে। মোট ৭-৮টি সেচ প্রয়োগ করতে হবে।রোগবালাই এবং অন্যান্য আন্ত:পরিচর্যা সময়মত করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ২৬.০ টন/হেক্টর।
চীনাবাদাম: অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যান্য সকল সার বীজ বপনের পূর্বে শেষ চাষের সময় এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বপনের ৪০-৪৫ দিন পর গাছে ফুল আসার সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: জুনের ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ২.৩ টন/হেক্টর।
রোপা আমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় এবং ইউরিয়া সমান তিন কিস্তিতে রোপনের ১০, ৩৫ এবং ৪৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: নভেম্বরের ১ম ও ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.১ টন/হেক্টর।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ফসল উৎপাদনে ঝুকি বেড়েছে। আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান যেমন-তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, দিবস দৈর্ঘ্য ইত্যাদি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-খরা, বন্যা, লবণাক্ততা, জলোচ্ছাস ইত্যাদি ফসল উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব ফেলে। নীলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলায় তামাক-বোরো-রোপা আমন একটি প্রধান ফসল বিন্যাস। কিন্তু কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৩ একটি খরা প্রবণ এলাকা সেখানে সেচের পানির ঘাটতি রয়েছে এবং এই অঞ্চলের মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম। বোরো ধান উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হয়। এমতাবস্থায় প্রচলিত ফসল বিন্যাসে বোরো ধানের পরিবর্তে চীনাবাদাম এবং তামাকের পরিবর্তে চীনাবাদাম এবং তামাকের পরিবর্তে আলুর অন্তর্ভূক্তি সুপারিশ করা হয়।প্রয়োগের স্থান: নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং পঞ্চগড় জেলা (কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ৩)
উৎপাদন প্রযুক্তি
আলুর জন্য বারি আলু-১, চীনাবাদামের জন্য বারি চীনাবাদাম-৮ এবং রোপা আমন ধানের ব্রি ধান৪৯ ব্যবহার করতে হবে। বীজের হার হবে যথাক্রমে হেক্টরপ্রতি ১৫০০ কেজি, ৯৫-১০০ কেজি এবং ৩০-৩৫ কেজি। আলু নভেম্বরের ৩য় থেকে ৪র্থ সপ্তাহে, চীনাবাদাম ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে এবং রোপা আমন ধান জুলাই এর ৩য় সপ্তাহে রোপন করতে হবে। বপন/রোপন দূরুত্ব যথাক্রমে ৬০x২৫, ৩০x১৫ এবং ২০x১৫।
সারের নাম | পরিমান | |||||
আলূ | চীনাবাদাম | রোপা আমন ধান | ||||
ইউরিয়া | ২৬০ | ২৬ | ১৪৫ | |||
টিএসপি | ২৫০ | ১৬০ | ২০ | |||
এমওপি | ২২০ | ৮৫ | ৪৫ | |||
জিপসাম (গ্রাম) | ১৪০ | ১৭০ | ৪০ | |||
জিংক সালফেট | ৮ | ৫ | ৩ | |||
বরিক এসিড | ৮ | ১০ | ০ |
সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ
আলু: দুই তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও অন্যান্য সকল সার জমি শেষ চাষের সময় এবং বাকি ইউরিয়া রোপনের ৩০ দিন পর সারিতে মাটি তুলে দেয়ার সময় প্রয়োগ করতে হবে। মোট ৭-৮টি সেচ প্রয়োগ করতে হবে।রোগবালাই এবং অন্যান্য আন্ত:পরিচর্যা সময়মত করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: ফেব্রুয়ারির ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ২৬.০ টন/হেক্টর।
চীনাবাদাম: অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যান্য সকল সার বীজ বপনের পূর্বে শেষ চাষের সময় এবং বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বপনের ৪০-৪৫ দিন পর গাছে ফুল আসার সময় প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: জুনের ৩য় সপ্তাহ। ফলন: ২.৩ টন/হেক্টর।
রোপা আমন ধান: ইউরিয়া ব্যতীত সকল সার শেষ জমি প্রস্তুতের সময় এবং ইউরিয়া সমান তিন কিস্তিতে রোপনের ১০, ৩৫ এবং ৪৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: নভেম্বরের ১ম ও ২য় সপ্তাহ। ফলন: ৪.১ টন/হেক্টর।

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।