Back  

প্রশ্ন/উত্তর/মতামত

প্রশ্ন

বিষয় : থাই-৩ জাতের পেয়ারা গাছের রোগ এবং তার প্রতিকার
বিস্তারিত :হঠাৎ করে পেয়ারা গাছ নেতিয়ে পড়ছে। গাছের ভেতরের অংশ কাটলে কালে দাগ দেখা যাচ্ছে। এবং আক্রান্ত গাছ ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে মারা যাচ্ছে।

উত্তর/মতামত

পেয়ারা রোগবালাই ব্যবস্থাপনা হঠাৎ করে গাছ মারা যাওয়া (ডাইব্যাক): ফিউজেরিয়াম উইল্ট নামক রোগের আক্রমণে এ সমস্যা হয়। প্রথমে পাতা হলুদ হয়ে আসে এবং পরে শুকিয়ে যায়। এভাবে পাতার পর প্রশাখা-শাখা এবং ধীরে ধীরে সমস্ত গাছই ৮-১০ দিনের মধ্যে নেতিয়ে পড়ে ও মারা যায়। প্রতিকার এ রোগের কোন দমন ব্যবস্থা নেই। তবে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো নেয়া যেতে পারেঃ  মাঠে/বাগানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।  রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বর্দ্দোমিক্সার অথবা কুপ্রাভিট/কপার অক্রি্ক্লোরাইড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে বা বেভিষ্টিন/নো্ইন প্রতি লিটারে ১ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।  বাগানের মাটির অম্লত্ব কমানোর জন্য জমিতে ভালচুন প্রয়োগ করতে হবে (২৫০-৫০০ গ্রাম/গাছ)। এ্যানথ্রাকনোজঃ কলেটোট্রিকাম সিডি নামক ছত্রাক পেয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণ। ফলের গায়ে ছোট ছোট কাল দাগই এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তাছাড়া ফল শক্ত, ছোট ও বিকৃত আকারের হতে পারে। ফল পাকা শুরু হলে দাগ দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং ফলটি ফেটে বা পঁচে যেতে পারে। প্রতিকার  গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হয়।  গাছে ফল ধরার পর টপসিন-এম অথবা নোইন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম অথবা টিল্ট-২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩-৪ বার ভালভাবে স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়। ফল ছিদ্রকারী পোকাঃ এ পোকা পেয়ারা ছোট থাকা অবস্থায় ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ও ক্ষতিসাধন করে। ক্ষতিগ্রস্থ ফল অল্পদিনের মধ্যেই ঝরে যায়। পাহাড়ী এলাকায় এ পোকার আক্রমণ বেশী হতে দেখা যায়। প্রতিকার  আক্রান্ত ফল পোকাসহ নষ্ট করে ফেলতে হয়।  প্রতি লিটার পানিতে ১ মিঃলিঃ হারে পারফেকথিয়ন বা লেবাসিড ৫০ ইসি মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ফল ছোট থাকা অবস্থায় গাছে স্প্রে করতে হয়। মিলিবাগঃ সাধারণত শীতকালে এদের আক্রমণে পাতায় সাদা সাদা তুলার মত দাগ দেখা যায়। এরা পাতার রস শুষে গাছকে দুর্বল করে। রস শোষনের সময় পাতায় বিষ্টা ত্যাগ করে এবং সেই বিষ্টার উপরই শুটিমোল্ড নামক ছত্রাক জন্মে। প্রতিকার  আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হয়।  রগর/রক্সিয়ন ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিঃলিঃ হারে মিশিয়ে আক্রান্ত পাতা ও গাছের ডালপালায় প্রতি ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হয়।