Back  

প্রশ্ন/উত্তর/মতামত

প্রশ্ন

বিষয় : আম্রাপালি আম চাষ
বিস্তারিত :আম্রপালি আম চাষের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাই। যেমন ঃ ১। প্রতি একরে কয়টি আম চারা লাগানো যাই এবং চারা গুলো কত দুরত্তে লাগাতে হয়? ২। আম্রপালি চারা রোপণ করার সময় কি কি সার ব্যাবহার করতে হয়? ৩। চারা রোপণ করার পর পানি দিতে হয় কিনা? আম্রপলি চাষের বিস্তারিত তথ্য জানালে বাধিত হই। আপনার পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ।

উত্তর/মতামত

বারি আম-৩ কেই আম্রপালী বলে। সাধারণত: আম গাছের রোপন দুরত্ব ৮ মি. × ৮ মি. । তবে অধিক ঘনত্বের (spacing) ক্ষেত্রে ৪ মি. × ৪ মি. দুরত্বে বারি আম-৩ লাগানো যেতে পারে। অধিক ঘনত্বের আম গাছের ক্ষেত্রে গাছের বয়স ৮-১০ বছর হলে মাঝের একটি করে গাছ কেটে ফেলতে হবে। কারণ, এ সময় পাশাপাশি দুইটি গাছের শাখা প্রশাখা বড় হয়ে একটি অন্যটির সাথে মিশে যায় (overlaping), ফলে আলো-বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে এবং ফলন কমে যায়। গাছে পর্যাপ্ত ফুল ও ফল পেতে চাইলে সঠিক পরিচর্যা, সার প্রয়োগ এবং সেচ প্রয়োজন। গাছ থেকে ফল পাড়া শেষ হলে ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে, আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ১১-১৫ বছর বয়সের গাছের জন্য সারের পরিমান গোবর-৩০ কেজি, ইউরিয়া-১০০০ গ্রাম, টিএসপি-৫০০ গ্রাম, এমওপি-৪০০ গ্রাম, জিপসাম-৩৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট-১৫ গ্রাম, বরিক এসিড-৩০ গ্রাম। এই সারগুলো দুই ভাগ করে ১ম ভাগ জুন-জুলাই (জৈষ্ঠ-আষাঢ়) মাসে এবং ২য় ভাগ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক) মাসে প্রয়োগ করতে হবে। জিপসাম ও জিংক সালফেট এক বছর পর পর প্রয়োগ করলেই চলবে। সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে হালকা করে। গাছের মুকুল বের হওয়ার ৩ মাস আগে থেকে সেচ প্রদান বন্ধ রাখতে হবে। আমের মুকুল ফোটার শেষ পর্যায়ে ১ বার এবং ফল মটর দানার আকৃতি ধারন করলে আরেক বার সেচ দিতে হবে। এ ছাড়া ফলের গুনাগুন ও আকৃতি ঠিক রাখতে হলে ফল মটর দানা আকৃতি ধারণ করলে ৩০ ভাগ ফল গাছ থেকে ফেলে দিতে হবে। অর্থাৎ ফলের ঘনত্ব কমাতে হবে। ড. মদন গোপাল সাহা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর মোবাইল: ০১৫৫২-৪৫০১৮২