কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :বাঁধাকপি ও ফুলকপি ফসলের সাধারণ কাটুই পোকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নাম: বাঁধাকপি/ফুলকপি
পোকার নামঃ সাধারণ কাটুই পোকা
পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ এই পোকা বাঁধাকপি ও ফুলকপির একটি প্রধান অনিষ্টকারী পোকা। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদা করে থাকে এবং পাতার বিভিন্ন অংশ গোলাকার করে খেয়ে বড় হতে থাকে। এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায় এবং তা দুর থেকে দেখেই চেনা যায়। কাছে গেলে ঐ জালের মত হয়ে যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক দিনের মধ্যে এরা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে।
দমন ব্যবস্থাপনা
১. যেহেতু পোকার দল প্রথম দিকে দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে সেজন্য প্রতিটি গাছ যত্ন নিয়ে দেখলেই পাতায় কীড়া খাওয়া চিহ্ন সহজেই চোখে পড়ে। ঐ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা কীড়াসহ গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে এবং ছড়িয়ে পড়া বড় কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে। এ ভাবে অতি সহজেই এ পোকা দমন করা যায়।
২. প্রতি সপ্তাহে একবার করে কীড়া নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ব্রাকন হেবিটর (হেক্টরপ্রতি এক বাংকার বা ৮০০-১২০০টি হিসাবে) পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করলে এ পোকার আক্রমনের হার অনেকাংশে কমে যায়।
৩. চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। ফেরোমন ফাঁদ পাতার পরও যদি আক্রমনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
সাধারণ কাটুই পোকা
পোকা আক্রান্ত বাঁধাকপি
বাঁধাকপির জমিতে স্থাপিত ফেরোমন ফাঁদ
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নাম: বাঁধাকপি/ফুলকপি
পোকার নামঃ সাধারণ কাটুই পোকা
পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ এই পোকা বাঁধাকপি ও ফুলকপির একটি প্রধান অনিষ্টকারী পোকা। ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদা করে থাকে এবং পাতার বিভিন্ন অংশ গোলাকার করে খেয়ে বড় হতে থাকে। এভাবে খাওয়ার ফলে পাতা জালের মত হয়ে যায় এবং তা দুর থেকে দেখেই চেনা যায়। কাছে গেলে ঐ জালের মত হয়ে যাওয়া পাতায় অনেক কীড়া দেখতে পাওয়া যায়। কয়েক দিনের মধ্যে এরা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে।
দমন ব্যবস্থাপনা
১. যেহেতু পোকার দল প্রথম দিকে দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে সেজন্য প্রতিটি গাছ যত্ন নিয়ে দেখলেই পাতায় কীড়া খাওয়া চিহ্ন সহজেই চোখে পড়ে। ঐ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা কীড়াসহ গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে এবং ছড়িয়ে পড়া বড় কীড়াগুলোকে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে। এ ভাবে অতি সহজেই এ পোকা দমন করা যায়।
২. প্রতি সপ্তাহে একবার করে কীড়া নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ব্রাকন হেবিটর (হেক্টরপ্রতি এক বাংকার বা ৮০০-১২০০টি হিসাবে) পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করলে এ পোকার আক্রমনের হার অনেকাংশে কমে যায়।
৩. চারা লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। ফেরোমন ফাঁদ পাতার পরও যদি আক্রমনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় তবে জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি প্রতি লিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
সাধারণ কাটুই পোকা
পোকা আক্রান্ত বাঁধাকপি
বাঁধাকপির জমিতে স্থাপিত ফেরোমন ফাঁদ
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।