কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার

প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :বাঁধাকপি ফসলের সুরুই পোকা বা ডাইমন্ড ব্যাক মথ এর সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নাম: বাধাকপি/ ফুলকপি
পোকার নামঃ সুরুই পোকা
পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ এই পোকা বাঁধাকপি ও ফুলকপির অন্যতম প্রধান অনিষ্টকারী পোকা। পাতার উপরের ত্বক বা সবুজ অংশ কুরে কুরে খাওয়ার ফলে সেসব অংশ বাঁঝরা হয়ে যায়। আক্রান্ত কপি খাওয়ার অনুপোযুক্ত হয়ে যায় এবং ব্যাপক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। পূর্ণাঙ্গ মথ ধূসর বাদামী বা ছাই রঙের এবং ৯-১৪ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় পূর্ণাঙ্গ মথের বসা অবস্থায় পিঠের দিকে পাখার উপর ডায়মন্ড বা হরতনের মত হলদেটে সাদা দাগ দেখা যায়। ডিম সাদাটে হলুদ, কীড়া সবুজ রংয়ের ছোট এবং মাথা হালকা বাদামী বর্ণের। কোন কারণে কীড়া পাতার উপর থেকে নীচে পড়ে গেলে এরা মাকড়সার মত সিল্কের সুতা ছেড়ে নীচে নামতে থাকে। পাতার উপর রেশমী কোকুনের মধ্যে পুত্তলিতে পরিণত হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা:
১. ফসল সংগ্রহের পর ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা এবং পরে জমি ভাল করে চাষ করা।
২. আক্রান্ত পাতার পোকা গুলিকে ২-৩ বার হাত বাছাই করে মেরে ফেল্লে এই সব পোকা অনেকাংশে দমন করা সম্ভবপর হয়।
৩. পিঁপড়া এবং মাকড়সা এ পোকার কীড়া খায়। বহু রকমের বোলতা যেমন ট্রাইকোগ্রামা, কোটেসিয়া ইত্যাদি এই পোকার ডিম ও কীড়াকে ধ্বংস করে ফেলে। তাই এদের সংরক্ষণ করা।
৪. প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডিম নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ট্রাইকোগ্রামাটিডি বেক্ট্রি (হেক্টরপ্রতি এক গ্রাম পরজীবি পোকা আক্রান্ত ডিম, যেখান হতে ৪০,০০০ হতে ৪৫,০০০ পূর্ণাঙ্গ ট্রাইকোগ্রামা বের হয়ে আসবে) পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করে আক্রমনের হার কমানো সম্ভব।
৫. জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস (বিটি) প্রয়োগ করে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পূর্ণাঙ্গ সুরুই পোকা
সুরুই পোকা আক্রান্ত বাঁধাকপি
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নাম: বাধাকপি/ ফুলকপি
পোকার নামঃ সুরুই পোকা
পোকার বৈশিষ্ট ও ক্ষতির ধরনঃ এই পোকা বাঁধাকপি ও ফুলকপির অন্যতম প্রধান অনিষ্টকারী পোকা। পাতার উপরের ত্বক বা সবুজ অংশ কুরে কুরে খাওয়ার ফলে সেসব অংশ বাঁঝরা হয়ে যায়। আক্রান্ত কপি খাওয়ার অনুপোযুক্ত হয়ে যায় এবং ব্যাপক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। পূর্ণাঙ্গ মথ ধূসর বাদামী বা ছাই রঙের এবং ৯-১৪ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয় পূর্ণাঙ্গ মথের বসা অবস্থায় পিঠের দিকে পাখার উপর ডায়মন্ড বা হরতনের মত হলদেটে সাদা দাগ দেখা যায়। ডিম সাদাটে হলুদ, কীড়া সবুজ রংয়ের ছোট এবং মাথা হালকা বাদামী বর্ণের। কোন কারণে কীড়া পাতার উপর থেকে নীচে পড়ে গেলে এরা মাকড়সার মত সিল্কের সুতা ছেড়ে নীচে নামতে থাকে। পাতার উপর রেশমী কোকুনের মধ্যে পুত্তলিতে পরিণত হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা:
১. ফসল সংগ্রহের পর ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা এবং পরে জমি ভাল করে চাষ করা।
২. আক্রান্ত পাতার পোকা গুলিকে ২-৩ বার হাত বাছাই করে মেরে ফেল্লে এই সব পোকা অনেকাংশে দমন করা সম্ভবপর হয়।
৩. পিঁপড়া এবং মাকড়সা এ পোকার কীড়া খায়। বহু রকমের বোলতা যেমন ট্রাইকোগ্রামা, কোটেসিয়া ইত্যাদি এই পোকার ডিম ও কীড়াকে ধ্বংস করে ফেলে। তাই এদের সংরক্ষণ করা।
৪. প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডিম নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ট্রাইকোগ্রামাটিডি বেক্ট্রি (হেক্টরপ্রতি এক গ্রাম পরজীবি পোকা আক্রান্ত ডিম, যেখান হতে ৪০,০০০ হতে ৪৫,০০০ পূর্ণাঙ্গ ট্রাইকোগ্রামা বের হয়ে আসবে) পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করে আক্রমনের হার কমানো সম্ভব।
৫. জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস (বিটি) প্রয়োগ করে এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

পূর্ণাঙ্গ সুরুই পোকা

সুরুই পোকা আক্রান্ত বাঁধাকপি
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।