Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :নারিকেলের ক্যান্ডি তৈরিকরণ

বিস্তারিত বিবরণ : 
নারিকেল আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। খাদ্য-পানীয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমারি কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। নারিকেলের শাঁস আমাদের শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এই শাঁসে আমিষ, শর্করা এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপাদান রয়েছে। নারিকেলের শাঁস দিয়ে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু খাবার যেমন নাড়ু, বরফি, বিস্কুট, নারিকেল বার, নারিকেল ক্যান্ডি ও সালাদ তৈরি করা হয়। নারিকেল থেকে তৈরিকৃত খাবারগুলোর মধ্যে নারিকেল ক্যান্ডি অন্যতম আর্কষনীয় খাবার। নারিকেল থেকে ক্যান্ডি তৈরির জন্য প্রথমে গ্লুটনযুক্ত ভাতের মল্ট তৈরি করতে হয়। এরপর নারিকেলের শাঁস পিষে নিতে হয় যাতে সহজেই শাঁস চেপে নারিকেল মিল্ক বের করা যায়। এখন ক্যান্ডির জন্য ৫০ ভাগ নারিকেল মিল্কের সাথে ২৫ ভাগ চিনি ও ২৫ ভাগ ভাতের মল্ট মিশিয়ে দ্রবীভুত না হওয়া পর্যন্ত তাপ প্রয়োগ করতে হবে। অতঃপর মিশ্রণটিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ লেবুর রস যোগ করে মসৃণ কাপড়ের সাহায্যে ছাঁকতে হয়। এখন মিশ্রণটির সঙ্গে পরিমাণমত বাদাম যোগ করে কঠিন সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরির জন্য অনবরত জাল্ব দিতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণ ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ঠান্ডা করতে হয়। এখন ক্যান্ডি তৈরির জন্য মিশ্রণটিকে নির্দিষ্ট মল্ডে রেখে মিশ্রণের উপরিভাগ মসৃণ করা হয় এবং চাকু বা ছুরির সাহায্যে ২ সেমি পরিমাণ করে নারিকেল ক্যান্ডি কাটা হয়। পরিশেষে ক্যান্ডিগুলো র্যাৃপিং কাগজে মুড়িয়ে পলিপ্রপাইলিন ব্যাগে ভর্তি করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত নারিকেল ক্যান্ডি ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

নারিকেলের ক্যান্ডি


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back