কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :করলা উৎপাদনে সেচ ও মাল্চ প্রযুক্তি
বিস্তারিত বিবরণ :
সারা বৎসর ব্যাপি সবজি ফসলের মধ্যে করলা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে পরিচিত। করলায় খাদ্যমান, প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন অধিক পরিমাণ পাওয়া যায়। করলা সাধারণতঃ ভাল নিষ্কাশনযুক্ত মাটিতে ভাল হয়। ইহা একদিকে যেমন মাটিতে রসের ঘাটতি হলে ভাল ফলন দেয় না, তেমনি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই সুষ্ঠু সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার অভাবে করলা উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। করলা সাধারণত দিনের তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রী সে. থাকলে ভাল ফল জন্মে। আমাদের দেশের কৃষকেরা সাধারণতঃ করলা চাষে সেচ প্রয়োগ বা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করে না। সে কারণে গাছের বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় ফলন কমে যায়। তাই সময়মত প্রয়োজনীয় পরিমাণ সেচ প্রয়োগ ও মাল্চ ব্যবহার করে অধিক ফলন যেমন পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি পানির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
গাছের চাহিদা মোতাবেক মাটিতে পানি সরবরাহ ভাল ফলনের পূর্বশর্ত। মাটির রস সংরক্ষণের জন্য মাটিতে পরিমাণমত মাল্চ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। করলা চাষে খরিপ মৌসুমে প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে সাধারণতঃ সেচের প্রয়োজন হয়। তবে ফুল আসা এবং ফল ধরার পর্যায়ে যদি বৃষ্টিপাত হয় তখন পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। রবি মৌসুমে মাটিতে পরিমাণমত রস না থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চারা গজানোর ১২-১৫ দিন পর পর রিং বেসিন পদ্ধতিতে সেচ প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে করলা উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৮০-২০০ মিঃমিঃ পানির প্রয়োজন হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে, গাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য পরিমিত সেচ প্রয়োগ এবং মাটির রস বজায় রাখার জনা মাল্চ অপরিহার্য। শুষ্ক মৌসুম চারা গজানোর ১৪ দিন পর পর মাল্চসহ গাছের গোড়ায় পরিমিত সেচ প্রয়োগ করলে করলার ফলন অধিকতর বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতিতে করলা চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ১৩-১৫ টন ফলন উৎপাদন করা সম্ভব। পরিমাণমত মাল্চ ও সেচ প্রয়োগের ফলে মৌসুমে ২২০-২৬০ মিঃমিঃ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ২.৪ঃ১-৩ঃ১ হয় এবং প্রতি হেক্টরে নীট মুনাফা ৭০,০০০-৭৫,০০০ টাকা অর্জন করা সম্ভব।
করলা উৎপাদনে সেচ ও মালচ প্রযুক্তি (ছবি-১)
করলা উৎপাদনে সেচ ও মালচ প্রযুক্তি (ছবি-২)
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
সারা বৎসর ব্যাপি সবজি ফসলের মধ্যে করলা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে পরিচিত। করলায় খাদ্যমান, প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন অধিক পরিমাণ পাওয়া যায়। করলা সাধারণতঃ ভাল নিষ্কাশনযুক্ত মাটিতে ভাল হয়। ইহা একদিকে যেমন মাটিতে রসের ঘাটতি হলে ভাল ফলন দেয় না, তেমনি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই সুষ্ঠু সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার অভাবে করলা উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। করলা সাধারণত দিনের তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রী সে. থাকলে ভাল ফল জন্মে। আমাদের দেশের কৃষকেরা সাধারণতঃ করলা চাষে সেচ প্রয়োগ বা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করে না। সে কারণে গাছের বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় ফলন কমে যায়। তাই সময়মত প্রয়োজনীয় পরিমাণ সেচ প্রয়োগ ও মাল্চ ব্যবহার করে অধিক ফলন যেমন পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি পানির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
গাছের চাহিদা মোতাবেক মাটিতে পানি সরবরাহ ভাল ফলনের পূর্বশর্ত। মাটির রস সংরক্ষণের জন্য মাটিতে পরিমাণমত মাল্চ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। করলা চাষে খরিপ মৌসুমে প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে সাধারণতঃ সেচের প্রয়োজন হয়। তবে ফুল আসা এবং ফল ধরার পর্যায়ে যদি বৃষ্টিপাত হয় তখন পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। রবি মৌসুমে মাটিতে পরিমাণমত রস না থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চারা গজানোর ১২-১৫ দিন পর পর রিং বেসিন পদ্ধতিতে সেচ প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে করলা উৎপাদনের জন্য প্রায় ১৮০-২০০ মিঃমিঃ পানির প্রয়োজন হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে, গাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য পরিমিত সেচ প্রয়োগ এবং মাটির রস বজায় রাখার জনা মাল্চ অপরিহার্য। শুষ্ক মৌসুম চারা গজানোর ১৪ দিন পর পর মাল্চসহ গাছের গোড়ায় পরিমিত সেচ প্রয়োগ করলে করলার ফলন অধিকতর বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতিতে করলা চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ১৩-১৫ টন ফলন উৎপাদন করা সম্ভব। পরিমাণমত মাল্চ ও সেচ প্রয়োগের ফলে মৌসুমে ২২০-২৬০ মিঃমিঃ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ২.৪ঃ১-৩ঃ১ হয় এবং প্রতি হেক্টরে নীট মুনাফা ৭০,০০০-৭৫,০০০ টাকা অর্জন করা সম্ভব।
করলা উৎপাদনে সেচ ও মালচ প্রযুক্তি (ছবি-১)
করলা উৎপাদনে সেচ ও মালচ প্রযুক্তি (ছবি-২)
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।