Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :গাছে ফলের অবস্থান, ফল সংগ্রহের সময় ও সংগ্রহোত্তর পরিপক্কতার সময়, ফলের আকার ও ফলে বীজের অবস্থানের মাধ্যমে চালকুমড়ার মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন

বিস্তারিত বিবরণ : 
বাংলাদেশে চালকুমড়া একটি জনপ্রিয় সবজি। আগে শুধু বসত বাড়ীতে এর চাষ হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে উঁচু জমিতে এর চাষ হয়ে থাকে। কান ফসলের অধিক বীজ উৎপাদনের প্রথম শর্ত হলো একক জমিতে কাঙ্খিত সংখ্যায় গাছ থাকা। বীজের সুপ্ততা থাকলে অনেক সময় জমিতে কাঙ্খিত গাছ পাওয়া যায় না। আবার সুপ্ততার কারনে একই সময়ে বীজ গজায় না বিধায় জমিতে সব গাছের বাড়-বাড়তি সমান হয় না, যা ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই বপনের আগে চালকুমড়া বীজের সুপ্ততা ভেংগে নেয়া আবশ্যক। চালকুমড়া বীজ মাঠে বপনের পূর্বে ০.৪% পটাশিয়াম নাইট্রেট (প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট) এ ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর অথবা ডিপ ফ্রিজ এ (তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রী সেঃ) এ ৪ দিন রেখে দেওয়ার পর বপন করলে বীজ গজানোর হার বৃদ্ধি পায়। চালকুমড়ার ফলের বৃদ্ধি ও ফলের ভিতরের বীজের পরিপক্কতা পৃথকভাবে হয়ে থাকে। তাই বীজের মান ফলের পরিপক্কতা আবার গাছের বিভিন্ন পর্বে ফলের অবস্থানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। লতা ও ফলের বোটা শুকালে বীজের জন্য ফল সংগ্রহ করতে হবে। গাছের ৩১ থেকে ৫০ পর্ব পর্যন্ত সংগৃহীত ফলের বীজের মান অধিকতর ভালো হয়ে থাকে। ফলের বোটার দিকের এক-তৃতীয়াংশ (১/৩ ) ভাগ অংশের বীজের মান (গজানোর হার ৮১% এর অধিক) ভাল হয়ে থাকে। ফল সংগ্রহের সাথে সাথে বীজের অংকুরোদগম হার কম (৩০% এর নিচে) থাকে এবং কত তাপমাত্রায় ৫০ দিন পর্যন্ত এই হারের তেমন পরিবর্তন হয় না। তবে ৫০ দিন পর সুপ্ততা ভাঙ্গার কারনে অংকুরোদগম হার ক্রমশ বেড়ে সংরক্ষণের ৭ মাস পর ৮০% এর উপরে হয়ে থাকে।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back