কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :শস্য সহগের (Kc) মাধ্যমে গম ফসলের সেচের পানির চাহিদা নিরূপণ
বিস্তারিত বিবরণ :
বৈশিষ্ট্যঃ রবি মৌসুমে আমাদের দেশে সেচের পানির প্রাপ্যতা অপ্রতুল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি ও মৃত্তিকার রস কমে যাচ্ছে। উন্নত জাতের গম লাভজনকভাবে চাষের নিমিত্তে কৃষি উপকরণ যেমন- সেচের পানি ও রাসায়নিক সারের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। এ লক্ষে গম ফসলের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে পানির প্রকৃত চাহিদা নিরূপনের জন্য শস্য সহগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য লাইসিমিটার ব্যবহার করে গম ফসলের জন্য পানির চাহিদা নিরূপন করা হয়েছে। মৃত্তিকা পদার্থ শাখা ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে গাজীপুর অঞ্চলে লাইসিমিটারের মাধ্যমে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে।
গাজীপুর অঞ্চলে বারি গম-২৬ এর জন্য শস্য সহগ মান
*মৃত্তিকা রসের ভিত্তিতে পানির চাহিদার তারতম্য হতে পারে
স্থানীয় প্রস্বেদন মান (ET0), জমির মৃত্তিকা রসের পরিমাণ ও সারণীতে বর্ণিত শস্য সহগ (Kc) ব্যবহার করে গমের জন্য স্থান ভিত্তিক প্রকৃত পানির চাহিদার পরিমাণ জানা যাবে সে মোতাবেক মাটির রস মাঠ ক্ষমতার নিম্নে থাকলে ঘাটতি পানি ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে। যদি প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে গমের জন্য শস্য সহগ (Kc) ০.৩৬ হয় এবং গাজীপুর অঞ্চলের ঐ সময়কালে (২০ দিন) ET0 ৫৬.৮ মিলিমিটার হয় তাহলে প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে গমের জন্য ২০.৪৫ (মিলিমিটার) পানির প্রয়োজন হবে।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
বৈশিষ্ট্যঃ রবি মৌসুমে আমাদের দেশে সেচের পানির প্রাপ্যতা অপ্রতুল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি ও মৃত্তিকার রস কমে যাচ্ছে। উন্নত জাতের গম লাভজনকভাবে চাষের নিমিত্তে কৃষি উপকরণ যেমন- সেচের পানি ও রাসায়নিক সারের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। এ লক্ষে গম ফসলের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে পানির প্রকৃত চাহিদা নিরূপনের জন্য শস্য সহগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য লাইসিমিটার ব্যবহার করে গম ফসলের জন্য পানির চাহিদা নিরূপন করা হয়েছে। মৃত্তিকা পদার্থ শাখা ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে গাজীপুর অঞ্চলে লাইসিমিটারের মাধ্যমে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে।
গাজীপুর অঞ্চলে বারি গম-২৬ এর জন্য শস্য সহগ মান
ফসলের বৃদ্ধির পর্যায় | সময়কাল (দিন) | শস্য সহগ (kc) মান | গমের পানির চাহিদা (মিলিমিটার)* |
প্রাথমিক পর্যায় | ০-২০ | ০.৩৬ | ২০.৪৫ |
অঙ্গজ বৃদ্ধি পর্যায় | ২১-৫০ | ০.৯১ | ৪১.০১ | >
মধ্য বৃদ্ধি পর্যায় | ৫১-৯০ | ১.১০ | ৫৫.২৫ |
শেষ বৃদ্ধির পর্যায় | ৯০+ | ০.২২ | ৩৯.৮৯ |
*মৃত্তিকা রসের ভিত্তিতে পানির চাহিদার তারতম্য হতে পারে
স্থানীয় প্রস্বেদন মান (ET0), জমির মৃত্তিকা রসের পরিমাণ ও সারণীতে বর্ণিত শস্য সহগ (Kc) ব্যবহার করে গমের জন্য স্থান ভিত্তিক প্রকৃত পানির চাহিদার পরিমাণ জানা যাবে সে মোতাবেক মাটির রস মাঠ ক্ষমতার নিম্নে থাকলে ঘাটতি পানি ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে। যদি প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে গমের জন্য শস্য সহগ (Kc) ০.৩৬ হয় এবং গাজীপুর অঞ্চলের ঐ সময়কালে (২০ দিন) ET0 ৫৬.৮ মিলিমিটার হয় তাহলে প্রাথমিক বৃদ্ধি পর্যায়ে গমের জন্য ২০.৪৫ (মিলিমিটার) পানির প্রয়োজন হবে।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।