Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :কেঁচো সার ও রাসায়নিক সারের সমন্বিত প্রয়োগে বাঁধাকপি উৎপাদন

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ অনুমোদিত মাত্রা হইতে ২০% অজৈব সার ব্যবহার কমানো যাবে। কেঁচো সার বা ভার্মিকম্পোস্ট জমিতে প্রয়োগ করিলে জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এতে মাটির উর্বরতা বাড়বে। এই সার মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক চরিত্রের মানোন্নায়ন ঘটায়। এই সার ব্যবহারে ফসলের আকার, গঠন ও স্বাদ ভালো হয় এবং ফসল সংরক্ষণের সময় বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ ফসলকে আরও বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। মৃত্তিকা রসায়ন শাখা ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে গাজীপুর, রংপুর ও যশোর অঞ্চলে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে ।
জাত
বাধাকপির জাত হিসেবে এটলাস-৭০ ও এটাম কুইন বাংলাদেশের আবহওয়ার জন্য বিশেষ উপযোগী।
সারের পরিমাণ
উচ্চ ফলন পেতে হলে বাঁধাকপির জমিতে হেক্টর প্রতি নিম্নলিখিত পরিমাণ সার সমনিণত প্রয়োগ করতে হবে ।
সারের নাম হেক্টর প্রতি পরিমাণ
কেঁচো সার ১.৫টন
ইউরিয়া ৩৫০কেজি
টিএসপি ১৭৫কেজি
এমওপি ১৫০কেজি
জিপসাম ৭৫কেজি
বরিক এসিড ৫কেজি

সার প্রয়োগ পদ্বতি:
শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ কেঁচো সার, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও বোরিক এসিড সার জমিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সার চারা রোপনের ১০, ৩০ ও ৫০ দিন পর সমানভাবে তিন বারে প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বতীকালীন পরিচর্যা:
বাধাকপি ফসলের জমি আগাছা মুক্ত রাখিতে হইবে। বাধাকপি ফসলে রোগ ও পোকা-মাকড় দমন করিতে হবে। বাধাকপি ফসলের জমিতে ১০ দিন অন্তর অন্তর সেচ প্রয়োগ করিতে হইবে ।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back