Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :মলিবডেনাম সিঞ্চণ প্রয়োগে ফুলকপি চাষ

বিস্তারিত বিবরণ : 

বৈশিষ্ট্যঃ অম্লীয় মাটিতে মলিবডেনামের অভাবে ফুলকপিতে পার্পল ক্ষত দেখা যায়-ফলশ্রুতিতে ফুলকপির বাজার মূল্য কমে যায়। এজন্য ফুলকপিতে মলিবডেনাম সার ব্যবহার করা উচিৎ। সিঞ্চণ আকারে ফুলকপি গাছে এই সার প্রয়োগে ফলন বৃদ্ধি সম্ভব। গাজীপুর অঞ্চলে ধূসর সোপান মাটিতে অ্যামোনিয়াম মলিবডেট সিঞ্চণ প্রয়োগে ফুলকপি চাষে ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
মৃত্তিকা অণুপুষ্টি শাখা ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে গবেষণা করে অত্র প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে ।
অঞ্চলঃ গাজীপুর (AEZ–২৮)
বীজ বপনের সময়ঃ মধ্য আগষ্ট-মধ্য অক্টোবর
বীজের হারঃ হেক্টার প্রতি ৩০০-৫০০ গ্রাম
চারা রোপনের সময়ঃ মধ্য নভেম্বর-মধ্য ডিসেম্বর
মাটিঃ সুনিষ্কাশিত দোঁয়াশ মাটি উত্তম।
সারের পরিমাণ:
সারের নাম সারের পরিমাণ/হেক্টর)
ইউরিয়া ২৫০-৩০০ কেজি
টিএসপি ২৮০-৩২০কেজি
এমওপি ২৫০-৩০০কেজি
জিপসাম ১০০-১৫০কেজি
জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ৫-১০কেজি
বোরিক এসিড ৫-১০কেজি

সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর, সমুদয় টিএসপি ও অর্ধেক এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর চারা রোপনের ১ সপ্তাহ পূর্বে মাদায় দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর চারা রোপন করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি সার ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে । চারা লাগানোর ১৫-২০ দিন পর প্রথম কিস্তি এবং চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর বাকি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
সিঞ্চণ প্রয়োগঃ অ্যামোনিয়াম মলিবডেট ফুলকপি বৃদ্ধির তিনটি পর্যায়ে দিতে হবে। চারা রোপনের ২০ দিন পর, ৩০দিন পর, ৪৫ দিন পর ০.০৫% হারে সিঞ্চণ প্রয়োগ করতে হবে। ১৫০ মি.লি. দ্রবণ প্রয়োগে প্রতিটি ফুলকপিকে সম্পূর্ণভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। সূর্যাস্তের পূর্বে অথবা পড়ন্ত বিকালে স্প্রে করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সিঞ্চণের পূর্বে পাতা ভেজা না থাকে । প্রখর সূর্যালোকে স্প্রে করা যাবে না। সূর্যাস্তের পূর্বে অথবা পড়ন্ত বিকালে স্প্রে করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সিঞ্চণের পূর্বে পাতা ভেজা না থাকে। প্রখর সূর্যালোকে স্প্রে করা যাবে না।
অর্ন্তবর্তীকালীন পরিচর্যাঃফসলের নিবিড় যত্ন যেমন- আগাছা দমন, সার প্রয়োগ, পানি সেচ, নিষ্কাশন, আস্তরণ ভেঙ্গে দেওয়া সব মাটি ঝুরঝুরে রাখা আবশ্যক।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back