কৃষি প্রযুক্তি ভাণ্ডার
প্রযুক্তির বিবরণ
প্রযুক্তির নাম :আকর্ষণ ও মেরে ফেলা পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন ফল যেমন আম, পেয়ারা, কমলা ও কুলের মাছি পোকা দমন
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নামঃ আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি
পোকার নামঃ ফলের মাছি পোকা
পোকার বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতিকর ধরণ: আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি ফলে মাছি পোকার আক্রমণে ব্যপক ক্ষতি হয়ে থাকে। মুলত: মাছি পোকার কীড়া ফলের ভিতরে ঢুকে ক্ষতি করে থাকে বিধায় কীটনাশক ব্যবহার করে এই পোকা দমন করা খুবই কঠিন।
দমন ব্যবস্থাপনা: এমতাবস্থায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগ অতি সম্প্রতি আকর্ষণ ও মেরে ফেলার মাধ্যমে মাছি পোকা দমনের একটি সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। এ প্রযুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো একই সাথে পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ মাছি পোকা আর্কষন করে মেরে ফেলা এবং প্রযুক্তিটি কার্যকর, সহজ ও পরিবেশবান্ধব। ইতোপূর্বে ফেরোমন ফাঁদভিত্তিক দমন ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র পুরুষ মাছি পোকা ফাঁদে আকৃষ্ট হয়ে মারা যেতো। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় পোকা আকৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পুরুষ মাছি পোকা আকর্ষণ করার জন্য মিথাইল ইউজিনল ফেরোমন ও জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত জেল বা পেষ্টের মত একটি পদার্থ বাগানের সীমানা লাইনে অবস্থিত গাছের কান্ডে (মাটি হতে ৩-৪ ফুট উপরে) ১০-১২ মিটার দূরে দূরে অল্প পরিমানে লাগিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে সারা বাগানের সীমানা লাইনের গাছ গুলিতে লাগিয়ে দেওয়ার ফলে অন্য বাগানেরসহ ঐ বাগানেরও পুরুষ মাছি পোকাসমূহ সীমানা লাইনের গাছে পেস্টের মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে মারা যাবে। স্ত্রী মাছি পোকাকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলার জন্য বাগানের ভিতরের গাছ গুলিতে ১০-১২ মিটার দূরে দূরে জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত এক প্রকার পোকার খাবার সহ একটি ফাঁদ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিতে হবে। গাছ অনেক বড় হলে একই গাছে পরিমাণ মত উক্ত খাবারের ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এভাবে বাগানের ভিতরে থাকা সকল স্ত্রী পোকা খাবারের লোভে আকৃষ্ট হয়ে পাত্রের কাছে ছুটে যাবে এবং মারা যাবে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প খরচে এবং পরিবেশ সম্মত উপায়ে আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি ফসলের মাছি পোকা কার্যকরীভাবে দমনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আকৃষ্ট পুরুষ মাছি পোকা
আম গাছে পুরুষ পোকা আকৃষ্টকরণ জেল
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
বিস্তারিত বিবরণ :
ফসলের নামঃ আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি
পোকার নামঃ ফলের মাছি পোকা
পোকার বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতিকর ধরণ: আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি ফলে মাছি পোকার আক্রমণে ব্যপক ক্ষতি হয়ে থাকে। মুলত: মাছি পোকার কীড়া ফলের ভিতরে ঢুকে ক্ষতি করে থাকে বিধায় কীটনাশক ব্যবহার করে এই পোকা দমন করা খুবই কঠিন।
দমন ব্যবস্থাপনা: এমতাবস্থায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগ অতি সম্প্রতি আকর্ষণ ও মেরে ফেলার মাধ্যমে মাছি পোকা দমনের একটি সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। এ প্রযুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো একই সাথে পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ মাছি পোকা আর্কষন করে মেরে ফেলা এবং প্রযুক্তিটি কার্যকর, সহজ ও পরিবেশবান্ধব। ইতোপূর্বে ফেরোমন ফাঁদভিত্তিক দমন ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র পুরুষ মাছি পোকা ফাঁদে আকৃষ্ট হয়ে মারা যেতো। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় পোকা আকৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পুরুষ মাছি পোকা আকর্ষণ করার জন্য মিথাইল ইউজিনল ফেরোমন ও জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত জেল বা পেষ্টের মত একটি পদার্থ বাগানের সীমানা লাইনে অবস্থিত গাছের কান্ডে (মাটি হতে ৩-৪ ফুট উপরে) ১০-১২ মিটার দূরে দূরে অল্প পরিমানে লাগিয়ে দিতে হবে। এই ভাবে সারা বাগানের সীমানা লাইনের গাছ গুলিতে লাগিয়ে দেওয়ার ফলে অন্য বাগানেরসহ ঐ বাগানেরও পুরুষ মাছি পোকাসমূহ সীমানা লাইনের গাছে পেস্টের মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে মারা যাবে। স্ত্রী মাছি পোকাকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলার জন্য বাগানের ভিতরের গাছ গুলিতে ১০-১২ মিটার দূরে দূরে জৈব বালাইনাশক মিশ্রিত এক প্রকার পোকার খাবার সহ একটি ফাঁদ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিতে হবে। গাছ অনেক বড় হলে একই গাছে পরিমাণ মত উক্ত খাবারের ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এভাবে বাগানের ভিতরে থাকা সকল স্ত্রী পোকা খাবারের লোভে আকৃষ্ট হয়ে পাত্রের কাছে ছুটে যাবে এবং মারা যাবে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প খরচে এবং পরিবেশ সম্মত উপায়ে আম, পেয়ারা, কমলা, কুল ইত্যাদি ফসলের মাছি পোকা কার্যকরীভাবে দমনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আকৃষ্ট পুরুষ মাছি পোকা
আম গাছে পুরুষ পোকা আকৃষ্টকরণ জেল
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।