Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :জৈব বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিমের প্রধান ক্ষতিকর পোকা (মাজরা ও জাব পোকা) দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 

ফসলের নামঃ শিম
পোকার নামঃ ফলছিদ্রকারী পোকা বা মাজরা পোকা ও জাব পোকা
দমন ব্যবস্থাপনা : জাব ও বিভিন্ন মাজরা পোকা শিমের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত নিম্নোক্ত জৈব বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত পোকাসমূহ দমন করা সম্ভব।
ক) প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত পাতা ও ডগার জাব পোকা হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলা যায়। ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম গুড়া সাবান মেশাতে হবে) স্প্রে করেও এ পোকার আক্রমন অনেকাংশে কমানো যায়। এছাড়াও আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে আক্রান্ত স্থানে বায়োনিম প্লাস ১মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন অন্তর অন্তর ২-৩ বার স্প্রে মাধ্যমে এ পোকা সহজে দমন করা যায়।
খ) যান্ত্রিক উপায়ে দমন: সাধারণত মাজরা পোকা শিমের ফুল ও পরবর্তীকালে ফলে আক্রমণ করে থাকে। গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়েছে যে, এক দিন পর পর আক্রান্ত ফুল ও ফল হাত বাছাই করে ধ্বংস করে ফেললে এই পোকা অনেকাংশে দমন করা সম্ভবপর হয়।
গ) উপকারী পোকামাকড় অবমুক্তকরণ: প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডিম নষ্টকারী পরজীবি পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ (হেক্টরপ্রতি এক গ্রাম পরজীবি পোকা আক্রান্ত ডিম, যেখানে থেকে ৪০,০০০ হতে ৪৫,০০০ পূর্ণাঙ্গ ট্রাইকোগ্রামা বের হয়ে আসবে) ও কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা, ব্রাকন হেবিটর (হেক্টরপ্রতি এক বাংকার বা ৮০০-১২০০টি পূর্ণাঙ্গ পোকা) পর্যায়ক্রমিকভাবে শিমের জমিতে মুক্তায়িত করতে হবে।

মাজরা পোকা আক্রান্ত শিমের ফুল

মাজরা পোকা আক্রান্ত শিমের ফুল ও ফল

জাব পোকা আক্রান্ত শিমের ডগা


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back