Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :ধাতব পাত দ্বারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে ফল গাছে ইঁদুর দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 
ইঁদুর দানাশস্য ও গুদামে ক্ষতি ছাড়া ও বিভিন্ন প্রকার ফল খেয়ে ও কেটে ক্ষতি করে থাকে যেমন নারিকেল, সুপারি, আম, লেবু, পেয়ারা, সফেদা, কাঁঠাল, কলা, কুল ইত্যাদি ফল খেয়ে ও গাছে বাসা তৈরি করে ক্ষতি করে থাকে। সাধারণত ফল গাছে গেছো ইঁদুর ক্ষতি করে থাকে। এরা কিছুটা বাদামী বর্ণের শরীরের তুলনায় লেজ লম্বা । এরা নারিকেল গাছে উঠে বাসা তৈরি করে এবং কচি ডাবের অগ্রভাগে ছিদ্র করে ডাবের পানি ও শাস খেয়ে ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে এক জরিপে দেখা যায় প্রতি বছর গাছ প্রতি ১০-১২ টি কচি নারিকেল ইঁদুর দ্বারা নষ্ট হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩০০-৪০০ টাকা। তাই এদের দমন করা অত্যন্ত জরুরী। নারিকেল গাছসহ অন্যান্য গাছের ইঁদুর দমনের ক্ষেত্রে ধাতব পাত বেশ কার্যকরী। এ ক্ষেত্রে পাত লাগানোর পূর্বে গাছকে ইঁদুর মুক্ত করতে হবে। অপয়োজনীয় মরা ডাল পালা কেটে পরিষ্কার করতে হবে। এবং অন্য গাছের সাথে লেগে থাকা ডালপালা ছেটে দিতে হবে। বিশেষ করে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব কমপক্ষে ৬ ফুট বা ২ মিটার ব্যবধান হতে হবে। যাতে ইঁদুর অন্য গাছ থেকে ডাল বেয়ে টিন লাগানো গাছে না আসতে পারে। নারিকেল, সুপারি গাছসহ ফল উৎপাদনকারী গাছের গোড়া হতে ২ মিটার উপরে গাছের খাড়া কান্ডের চারিদিকে ৫০-৬০ সে.মি. প্রশস্থ টিনের পাত শক্তভাবে আটকিয়ে দিতে হয়। ফলে ইঁদুর গাছের গোড়া (নিচ) থেকে উপরে উঠতে পারে না। এই পদ্ধতি অরাসায়নিক হওয়ায় পরিবেশ দূষণমুক্ত, অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী ও লাভজনক। সাধারণত এ পদ্ধতি ব্যবহারে ১ টি নারিকেল গাছে ১০০-১৫০ টাকা খরচ হয়। একবার টিনের পাত লাগালে ৪-৫ বৎসর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নারিকেল সহ অন্যান্য ফল গাছে ইঁদুর ছাড়া ও কাঁঠবিড়ালী সফলভাবে দমন করা যায়।
প্রয়োগের স্থানঃ বাংলাদেশের যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।

নারিকেল গাছে ব্যবহৃত ধাতবপাত


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back