Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :বগুড়ার চরাঞ্চলে রসুনের সাথে চীনাবাদামের আন্তঃফসল চাষ একটি লাভজনক প্রযুক্তি

বিস্তারিত বিবরণ : 
বগুড়ার চরাঞ্চলে (সারিয়াকান্দি) চীনাবাদাম একক হিসেবে চাষাবাদ করা হয়। সরেজমিন গবেষণা বিভাগে বগুড়ার চরাঞ্চলে চীনাবাদামের একক ফসলের পরিবর্তে চীনাবাদামের দুই সারির মধ্যে দুই সারি রসুন আবাদ করা হয় এবং এতে চীনাবাদামের সমতুল্য ফলন ৭.৫৪ টন/হেক্টর পাওয়া যায়। দেখা যায় একক চীনাবাদামের চাষের চেয়ে রসুনের সাথে চীনাবাদামের আন্ত:ফসল চাষে প্রায় ১৬১% বেশী মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়।উপযোগী অঞ্চল: বগুড়ার চরাঞ্চল এবং কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-৪ এর অনরূপ অঞ্চল।
উৎপাদন প্রযুক্তি
রসুনের জন্য বারি রসুন-১ এবং চীনাবাদামের বারি চীনাবাদাম-৮ জাত ব্যবহার করতে হবে। বপন/রোপন দূরত্ব হবে রসুন ১৫x৫ সেমি এবং চীনাবাদাম ৪০x১৫ সেন্টিমিটার । দুই সারি রসুনের মাঝে এক সারি চীনাবাদাম রোপন করতে হবে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহে।
সারের নাম পরিমাণ(কেজি/হেক্টর)
ইউরিয়া ১০৫
টিএসপি ৪০০
এমওপি ৮০
জিপসাম ১৭০
জিংক সালফেট ১৩.৫
বরিক এসিড
গোবর সার ৫০০০

সার প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্ত: পরিচর্যা ও ফলনঃ অর্ধেক ইউরিয়াসহ বাকী সকল সার শেষ জমি প্রস্ত্ততের সময় প্রয়োগ করতে হবে এবং বাকী ইউরিয়া সমান দুইভাগে করে ফুল আসার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। রোপনের ৩৫ দিন পর থ্রিপস দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ২ মিলিলিটার প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মোট ৭-৮ টি সেচ প্রয়োগ করতে হবে। রোগবালাই এবং অন্যান্য আন্ত:পরিচর্যা সময়মত করতে হবে। ফসল সংগ্রহ: রসুন এপ্রিলের ২য় সপ্তাহে এবং চীনাবাদাম এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে । ফলন: রসুন ৪.৭ টন/হেক্টর এবং চীনাবাদাম ২.৪ টন/হেক্টর।
এই ফসল ধারার মোট আয় হেক্টর প্রতি ৪১৪৭০০ টাকা, উৎপাদন ব্যয় হেক্টর প্রতি ৯৫৯৩৯ টাকা এবং লাভ খরচের অনুপাত ৪.৩২।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back