Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :আগাছানাশকে প্রয়োগের মাধ্যমে মসুরের আগাছা দমন

বিস্তারিত বিবরণ : 

ক) অঙ্কুরোদগম-পূর্ব (pre-emergence) আগাছানাশকঃ এ পদ্ধতিতে জমিতে মসুরের বীজ বোপন করার পর, কিন্তু আগাছা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে মাটির উপরে আসার পূর্বে মাটি ভেজা থাকা অবস্থায় অথবা বীজ বপ নোত্তর সেচ দিয়ে পানিডা-৩৩ ইসি (পেন্ডিমেথালিন, @৩লিটার/ হেক্টর) প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলিলিটার হারে স্প্রে করে মাটি ভালোভাবে ভেজিয়ে দিতে হবে। এজন্যে বিঘা প্রতি প্রায় ৪০০ মিলিলিটারের এক বোতল আগাছানাশক ও ৮০ লিটার পানির প্রয়োজন হয় ।
খ) অঙ্কুরোদগম-উত্তর (post-emergence) আগাছানাশকঃ আগাছার বীজ অঙ্কুরিত হয়ে মাটির উপরে আসার পূর্বে, কিন্তু মসুরের বীজ অঙ্কুরিত হয়ে মাটির উপরে আসার পর (চারা গজানোর ১৫-২০ দিন পর) মাটি ভেজা থাকা অবস্থায় উইডনিল-৫ ইসি (কুইজালোফপ-পি-ইথাইল, @ ৭৫০ মিলিলিটার /হেক্টর) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলিলিটার হারে স্প্রে করে মাটি ভালোভাবে ভেজিয়ে দিতে হবে। এজন্যে বিঘা প্রতি প্রায় ১০০ মিলিলিটারের এক বোতল আগাছানাশক ও ৮০ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। যে সব জমিতে আগাছার প্রকোপ বেশী হয়, সেখানে উভয় ধরনের আগাছানাশক প্রয়োগ করতে হবে।
১। আগাছানাশক ব্যবহারে হাত বা নিড়ানি যন্ত্রের চেয়ে কম খরচে বেশী পরিমান জমির আগাছা দমন করা যায়।
২। ইহা তরল জাতীয় আগাছানাশক বিধায় নির্দিষ্ট পরিমান পানির সাথে মিশিয়ে নির্দিষ্ট পরিমান জমিতে স্প্রে মেশিন দিয়ে মাটিতে ছিটানো যায়। ।
৩। ইহা মাটিতে ক্রিয়াশীল আগাছানাশক বলে আগাছা জন্মানোর আগেই মাঠে প্রয়োগ করা যায়। এজন্য ফসলকে প্রাথমিক অবস্থাতেই আগাছার উপদ্রব থেকে রক্ষা করা যায়।
৪। মাটিতে প্রয়োগ করার বেশ কিছু দিন পরেও কার্যকরী থেকে আগাছাকে দমন করতে পারে।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back