Back  
Print This Document

প্রযুক্তির বিবরণ

প্রযুক্তির নাম :মসুরের পাতা ঝলসানো রোগ দমনে অন্তঃর্বাহী ছত্রাকনাশকের ব্যবহার

বিস্তারিত বিবরণ : 
স্টেমফাইলিয়াম বোট্রায়সাম (Stemphylium botryosum) নামক একটি ছত্রাক জীবাণু দ্বারা এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। সাধারণভাবে সমগ্র বাংলাদেশে এর আক্রমণ লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে অনেক বছর থেকে রোভরাল (ইপ্রিডিওন) ছত্রাকনাশক মসুরের পাতা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। আমারা জানি একই গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনেক দিন ব্যবহার করলে জীবাণুর ছত্রাকনাশক প্রতিরোধী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তাই উদ্ভিদের রোগ দমনে বিভিন্ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যুক্তিসংগত। অন্তঃর্বাহী ছত্রাকনাশক টেবুকোনাজল ব্যবহার করে মসুরের পাতা ঝলসানো রোগ দমন সম্ভব। কুয়াশাচ্ছন্ন আবাহওয়ায় ও শৈত্য প্রবাহের সময় এবং পরবর্তীতে তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড এ রোগের আক্রমণে ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়, রোগের প্রাথমিক অবস্থায় পাতার উপর পিনের মাথা বরাবর সাইজের ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। হালকা বাদামী বা শুকনা খড়ের রঙের দাগগুলো আকারে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আক্রান্ত পাতাটি ঝরে পড়ে। আক্রমণের প্রকোপ বেশি হলে সমগ্র ফসলের মাঠটি ঝলসানো রং ধারণ করে, তবে ফলগুলি তখনও সবুজ থেকে যায়। এ রোগের আক্রমণের ফলে শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত ফলন কমে যেতে পারে, গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক মাঠের ফলনের তুলনায় প্রায় তিনগুণ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বৈশিষ্ট্য সমূহ:
১। ছত্রাকনাশকটি (১ এমএল/লিটার) গাছের পাতায় ৭ দিন অন্তর দুইবার প্রয়োগ করে (রৌদ্রজ্জল আবহাওয়ায়) এ রোগ দমন করা সম্ভব।
২। প্রযুক্তিটি সহজলভ্য, কার্যকরী ও আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী।
৩। প্রযুক্তিটি পরিবেশসম্মত কারণ ছত্রাকনাশক অন্তঃর্বাহী।
৪। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মসুরের রোগ দমনের সাথে সাথে মসুর ডালের দানাও পরিপুষ্ট হয়।


প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
 
Back