Back  

প্রশ্ন/উত্তর/মতামত

প্রশ্ন

বিষয় : খেসারি ডাল
বিস্তারিত :বর হয়না ডাল কম

উত্তর/মতামত


জাব পোকা :
জাবপোকা ছোট ও নরম । পূর্ণবয়স্ক পোকা কালো বা ধুসর বর্ণের । ১-৪ মি.মি লম্বা ও দুটি লম্বা শুং আছে । জাবপোকা কান্ড ও পাতার রস চুষে খায় বলে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয় । গাছ খাটো হয় । অধিক সময় ধরে আক্রমনে গাছ ঝলসে যেতে পারে, যাকে এফিড বার্ন বলে।. এছাড়া জাব পোকা থেকে মিষ্টি ও আঠালো পদার্থ বের হয় (honey dew) যার কারনে শুটি মোল্ড ছত্রাক আক্রমন করে । জাব পোকা বিভিন্ন ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে, যেমন শিমের হলুদ মোজাইক ভাইরাস । শিমে্র কালো জাবপোকা শিম ও ডাল জাতীয় ফসলে অধিক আক্রমন করে ।
দমন ব্যবস্থাপনা :
এ পোকা দমন করা খুবই সহজ । জাব পোকা বাধা পেলে স্থান পরিবর্তন করে । ছোট ও নরম শরীর বিশিষ্ট হওয়ায় যে কোন কীটনাশক দিয়ে তা দমন করা যায় । তবে মারাত্বক আক্রমনে ডাইমেথয়েট জাতীয় কীটনাশক (যেমন: টাফগার বা অন্য নামে বাজারে প্রচলিত) প্রতি লিটার পানিতে ২ মি.লি. হারে মিশিয়ে স্প্রে করে দমন করা যেতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য যে, কৃষকের সাথে আরও আলাপ করে জানা যায় যে, সে দেরীতে বপন করেছে-ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহে, যেখানে প্রকৃত বপনের সময় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের ২য় সপ্তাহ এবং সর্বোচ্চ নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। বপনের সময় জমিতে রস কম ছিল ও বিঘা প্রতি বীজ দিয়েছে মাত্র ৫ কেজি যেখানে বীজ লাগে ৮-১০ কেজি। এমতাবস্থায়, আগামী বছর থেকে সঠিক সময়ে ডাল ফসল সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চাষের জন্য অনুরোধ করা হল।
(আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল এর উপর পুস্তিকা সংগ্রহের জন্য ডাল গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা; আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র, মাদারীপুর অথবা ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্র, গাজীপুরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।)