Back  

প্রশ্ন/উত্তর/মতামত

প্রশ্ন

বিষয় : তরমুজ
বিস্তারিত :তরমুজের পোকা ও রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়।

উত্তর/মতামত

মাছি পোকা  সেক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার: সেক্স ফেরোমন ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে মাছি পোকার পুরুষ পোকা আকৃষ্ট করা সম্ভব। পানি ফাঁদের মাধ্যমে উক্ত ফেরোমন ব্যবহার করে আকৃষ্ট মাছি পোকা সমুহকে মেরে ফেলা যায়। ফেরোমন ৫০-৬০ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকে বলে ব্যবহারের ৬০ দিন পর প্রয়োজনানুসারে পুরাতন ফেরোমন পরিবর্তন করে নতুন ফেরোমন ব্যবহার করতে হবে।  বিষটোপ ফাঁদে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী ও পুরুষ মাছি পোকা আকৃষ্ট হয় এবং ফাঁদে পড়ে মারা যায়। একশত গ্রাম পাকা মিষ্টি কুমড়া কুচি কুচি করে কেটে তা থেতলিয়ে ০.২৫ গ্রাম মিপসিন ৭৫ পাউডার অথবা সেভিন ৮৫ পাউডার এবং ১০০ মিলিলিটার পানি মিশিয়ে ছোট একটি মাটির পাত্রে রেখে তিনটি খুঁটির সাহায্যে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে বিষটোপের পাত্রটি মাটি থেকে ০.৫ মিটার উঁচুতে থাকে । বিষটোপ তৈরির পর ৩-৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করে তা ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে তৈরি বিষটোপ ব্যবহার করতে হয় । সেক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদ কুমড়া জাতীয় ফসলের জমিতে ক্রমনুসারে ১২ মি: দূরে দূরে স্থাপন করতে হবে। কাঁটালে পোকা বা ইপিল্যাকনা বিটল  পোকা সহ আক্রান্ত পাতা হাত বাছাই করে মেরে ফেলা।  আক্রমণের শুরুতে বায়োনিম প্লাস (Azadiractin) @ ১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা।  আক্রমণ অত্যন্ত বেশী হলে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ২মিলি পরিমান) স্প্রে করতে হবে। জাব পোকা  প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত পাতা ও ডগার জাব পোকা হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলা যায়।  আঠালো হলুদ ফাঁদ (Yellow Sticky Trap) ব্যবহার করা।  ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি (৫ গ্রাম/ লিটার) পাতার নিচের দিকে স্প্রে করা।  আক্রমণের শুরুতে বায়োনিম প্লাস (Azadiractin) @ ১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা।  আক্রমণের হার অত্যন্ত বেশী হলে সাকসেস ২.৫ এস সি (Spinosad), Polo 500 SC (Difenthuron), ইনটিপ্রিড ১০ এস সি (Chlorfenapyr) অথবা এডমায়ার ২০০ এস এল/ ইমিটাফ (Imidacloprid) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা। থ্রিপস পোকা  ক্ষেতে ৩০ x ৩০ সেমি আকারের সাদা রঙের বোর্ডে পাতলা করে গ্রীজ বা আঠা লাগিয়ে কাঠির সাহায্যে ৩ মিটার দূরে দূরে আঠা ফাঁদ পেতে থ্রিপস পোকা আকৃষ্ট করে মারা।  সঠিকভাবে সেচ প্রদান করতে হবে। কারণ, পোকার রস শোষণের ফলে ক্রমান্বয়ে গাছের কোষ থেকে পানি বের হয়ে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হয়। সেচ বা জমি ভিজিয়ে দিলে মাটিতে বিদ্যমান থ্রিপসের প্রিপিউপা ও পিউপা মারা যায়।  আক্রমণের শুরুতে সাকসেস ২.৫ এস সি (Spinosad) প্রতি লিটার পানিতে ১.২ মিলি মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করতে হবে অথবা আক্রমণের শুরুতে ইনটিপ্রিড ১০ এস সি (Chlorfenapyr) @ ১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করা। মাকড়  আক্রান্ত ফসলে উপরি সেচ প্রয়োগ করতে হবে। ধুলাবালি থাকলে এদের আক্রমণ বেড়ে যায়। ভারী বৃষ্টিপাতে মাইটের আক্রমণ কমে যায়।  বায়োনিম প্লাস (Azadiractin) @ ১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা।  আক্রমণের হার অত্যন্ত বেশী হলে মাকড়নাশক Abamectin (ভার্টিমেক ১.৮ ইসি অথবা Abom ১.৮ ইসি অথবা Ambush ১.৮ ইসি) @ ২.৫ মিলি/ লিটার অথবা Propargite (Sumite or Omite ৫৭ ইসি) @ ২ মিলি/ লিটার আক্রান্ত পাতায় স্প্রে করা। রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা এনথ্রাকনোজ  রোগমুক্ত ভাল বীজ ব্যবহার করতে হবে।  অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যাভিষ্টিন/ নোইন বা একোনাজল আক্রমণের শুরুতইে @ ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছে ৭-৮ দিন অন্তর স্প্রে করা। ফউিজারয়িাম উইলট  ডাইথেন এম এবং রিডোমিল গোল্ড (@ ২ গ্রাম / লিটার) ৭ দিন পর পর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।